নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ খোরশেদ আলম, তিনি এসএসসি পাশ করে পলিটেকনিক থেকে দুই বছরের কোর্স করে নামের আগে ইঞ্জিনিয়ার শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের অতি সামান্য একজন কর্মচারী ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছর তিনি মিরপুরের অর্থাৎ ঢাকা ১৪ আসনের সাবেক এমপি মরহুম আসলাম এর সঙ্গে আঁতাত করে টোলারবাগ এলাকাতে বহু জমি জমা অবৈধভাবে দখল করে এবং জমির শেয়ার বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যান। সাবেক এমপি আসলাম সাহেবের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বিধায় ওই সময় কেউ উনাকে কোন কিছু বলতে পারতেন না।

ইঞ্জিনিয়ার মোঃ খোরশেদ আলম
পরবর্তী এমপি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সাথে সম্পর্ক ও সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং ২০২৪ এর সংসদ নির্বাচনে একজন ডোনার হিসেবে নিখিলকে ২০ লক্ষ টাকা নির্বাচনী খরচ হিসাবে প্রদান করেন। পুরস্কার হিসেবে জনাব নিখিল তাকে মিরপুর শাহ আলী মাজারের অন্যতম সদস্য হিসাবে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেন। টোলারবাগের বিখ্যাত ২০ দাগ ও ২৬ দাগ দখল করে তিনি বহুতল বিশিষ্ট্য আবাসিক ভবন নির্মাণ করেন এবং কোটি কোটি টাকা এখান থেকে হাতিয়ে নেন। মিরপুর ১ নং বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ফ্রেন্ডস হোটেলের ঠিক পাশেই তার একটি বহু দল বিশিষ্ট মার্কেট আছে। টোলারবাগে তার পাঁচ তলা একটি বাড়ি ছাড়াও অনেক অ্যাপার্টমেন্ট আছে। মিরপুর ১নং দক্ষিণ বিশিলে ইলেকট্রিক প্লাজা নামে তার একটি মার্কেট আছে। বিগত ১৫ বছরে টোলারবাগে বিএনপি’র কোন নেতাকর্মীকে উনি মাথা তুলে দাঁড়াতে দেন নাই। তিনি বর্তমানে মিরপুর মাজার কো-অপারেটিভ মার্কেটের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন সমবায় সমিতি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
বর্তমানে তার বয়স আনুমানিক ৭৫ হলেও তিনি এখনো নির্বাচনের মাঠে বিচরণ করতে চান। তিনি ইতিমধ্যেই একবার সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনার হিসেবে নির্বাচন করেছেন। মিরপুরের টোলার ভাগে উনি এক নামে ইঞ্জিনিয়ার খোরশেদ আলম হিসাবে পরিচিত। আওয়ামী লীগের বিগত শাসন আমলে তিনি একজন বড় ডোনার হিসেবে এমপি পদপ্রার্থীদের ডোনেশন প্রদান করতেন এবং তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে তিনি ভূমি দখল করতেন। বিশেষ করে টোলারবাগে জমি দখল করেই উনি কয়েকশো কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। বিগত ৩০ বছরে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করলে এর প্রমাণ মিলবে। বর্তমানে ২য় পর্বের জন্য অনুসন্ধান চলমান।