• ২৮শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই হাসান মাহমুদের জোড়া আঘাত

Mofossal Barta
প্রকাশিত নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ১৩:০০ অপরাহ্ণ
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই হাসান মাহমুদের জোড়া আঘাত

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই জোড়া আঘাত হেনেছেন হাসান মাহমুদ

সংবাদটি শেয়ার করুন....

মফঃস্বল বার্তা প্রতিবেদন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই জোড়া আঘাত হেনেছেন হাসান মাহমুদ। স্বাগতিকদের মাত্র ৬ রানের মধ্যে একে একে তুলে নিয়েছেন দুটি উইকেট। দ্বিতীয় দিনে মাঠে নেমে প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই সফল আঘাত হানেন টাইগার বোলার হাসান মাহমুদ। জশুয়া ডা সিলভার বিরুদ্ধে হাসান মাহমুদ এলবিডব্লিউর আবেদন করলে আম্পায়ার মেনন আঙুল তুলে দেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ রিভিউ নিলেও বাঁচতে পারেননি।

২৩ বলে ১৪ রান করেন তিনি। ফলে দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে মাত্র তিন রান তুলতেই উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৮৪.৫ ওভারে ২৫৩ রানে ৬ষ্ঠ উইকেট পড়ে স্বাগতিকদের। এখানেই শেষ নয়। দলীয় ১৬১ রানে আরো একটি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। এই পেসার টানা দ্বিতীয় ওভারে উইকেট পেলেন। চার মারার পরের বলে আলজারি জোসেফকে জাকির হাসানের ক্যাচ বানান তিনি। ফলে ১৬১ রানে দলটি হারায় সপ্তম উইকেট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৯০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৪ রান নিয়ে ব্যাট করছিল দলটি।  এর আগে,বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছিল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মিকাইল লুইস ও অ্যালিক আথানাজের ব্যাটিং দৃঢ়তায় বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দিন নিজেদের করে রাখার পথে ছিলো স্বাগতিকরা। ৩ উইকেটে ২২৪ রানও তুলে ফেলেছিলো ক্যারিবীয়রা। কিন্তু শেষ বিকেলে ঘুরে ঁদাড়ায় টাইগার বোলাররা। ৪ রানের ব্যবধানে দুই সেট ব্যাটার লুইস ও আথানাজেকে নব্বইয়ের ঘরে থামিয়ে বড় ধাক্কা দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ফলে ৮৪ ওভারে ৫ উইকেটে ২৫০ রানে প্রথম দিন শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লুইস ৯৭ ও আথানাজে ৯০ রানে আউট হন।

নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ইনজুরির কারণে এই সিরিজে দলের অধিনায়কত্ব করছেন মিরাজ। দেশের ১৪তম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে টাইগারদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। প্রথম দিনে ব্যাট হাতে সাবধানী শুরু করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার ক্রেইগ ব্রার্থওয়েট ও মিকাইল লুইস। তবে ১৪তম ওভারে নিজের চতুর্থ ওভার করতে এসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন তাসকিন। ব্রার্থওয়েটকে লেগ বিফোর আউট করেন তাসকিন। রিভিউ নিয়েও নিজের উইকেট বাঁচাতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলনেতা। ৩৮ বলে ৪ রান করেন তিনি। ব্যার্থ ওয়েটের আউটে ক্রিজে এসে তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হন কেসি কার্টি। ১৬তম ওভারে তাসকিনের বলে মিড উইকেটে তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দেন কার্টি। ৮ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি কার্টি। তাসকিনের জোড়া আঘাতে ২৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

তৃতীয় উইকেটে হাফ-সেঞ্চুরির জুটিতে দলকে চাপমুক্ত করেন লুইস ও কাভেম হজ। এর মধ্যে ১০৪ বল খেলে টেস্টে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান লুইস। ৩৮তম ওভারে দলীয় ৮৪ রানে রান আউটের শিকার হন হজ। দুই রান নিতে গিয়ে তাইজুল ইসলামের দারুণ ফিল্ডিংয়ে রান আউট হন ২টি চারে ২৫ রান করা হজ। ১৩০ বল খেলে ৫৯ রানের জুটি গড়েন লুইস ও হজ। হজের বিদায়ে ক্রিজে লুইসের সঙ্গী হন অ্যালিক আথানাজে। তাইজুলের করা ৬৫তম ওভারের শুরুতে টেস্টে তৃতীয় অর্ধশতক করেন ৮৪ বল খেলা আথানাজে। ঐ ওভারের দ্বিতীয় বলে স্লিপে লুইসের ক্যাচ ফেলেন মিরাজ। ৯০ রানে জীবন পান লুইস। ৭১তম ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ২শ স্পর্শ করে। মিরাজের হাতে জীবন পেয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ম্যাচে প্রথম সেঞ্চুরির পথে হাটছিলেন লুইস। কিন্তু ৭৫তম ওভারের মিরাজের দ্বিতীয় বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে স্লিপে শাহাদাত হোসেনকে ক্যাচ দেন লুইস। ৩৩০ মিনিট ক্রিজে থেকে ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ২১৮ বলে ৯৭ রানে আউট হন তিনি। টেস্টে ক্যারিয়ারে এটিই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস লুইসের। আথানাজের সাথে চতুর্থ উইকেটে ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি গড়েন লুইস। ঘরের মাঠে চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। লুইসের মত নার্ভাস নাইন্টিতে আউট হয়ে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নিতে পারেননি আথানাজেও।

৭৭তম ওভারের চতুর্থ বলে তাইজুলকে সুইপ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লিটন দাসকে ক্যাচ দেন তিনি। ১০ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারের এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নব্বইয়ের ঘরে থামলেন আথানাজে। দলীয় ২২৮ রানে আথানাজের আউটের পর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৩৮ বল খেলতে পারেন জাস্টিন গ্রিভস ও উইকেটরক্ষক জশুয়া ডা সিলভা। আলোকস্বল্পতায় ৬ ওভার আগেই প্রথম দিনের খেলার ইতি ঘটে। প্রথম দিন শেষে গ্রিভস ১১ ও সিলভা ১৪ রানে অপরাজিত আছেন তাসকিন ৪৬ রানে ২টি, তাইজুল ৬৭ রানে ও মিরাজ ৪৭ রানে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।