• ২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রাতের আঁধারে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে ৩০ লাখ টাকা মাছ নিধন।

Mofossal Barta
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫, ১৬:৪৬ অপরাহ্ণ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রাতের আঁধারে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে ৩০ লাখ টাকা মাছ নিধন।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রাতের আঁধারে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে ৩০ লাখ টাকা মাছ নিধন।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আঃ রাজ্জাক সরকার গাইবান্ধা জেলা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রাতের আঁধারে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করা হয়েছে। গত রবিবার (৯ ফেব্রুয়ার) রাতে উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের রাজাবিরাট আদিবাসীপাড়ায় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। বিষ প্রয়োগের ফলে পুকুরের প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ মরে ভেসে উঠেছে।

রবিবার সন্ধ্যায় পুকুরে নৈশ্য প্রহরী নজরুল ইসলাম না থাকার সুযোগে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিবর্গ গ্যাস ট্যাবলেট/কীটনাশক প্রয়োগ করে ৩ লাখ পিস পাঙ্গাস, ১ লাখ পিস রুই ও ৫০ হাজার পিস মৃগেল মাছের পোনা নিধন করে। রাত ৮টার দিকে নৈশ্য প্রহরী পুকুরে মাছ মরে ভেসে উঠছে বলে রফিকুল ইসলামকে মুঠোফোনে জানানোর পরে তিনি সরেজমিনে গিয়ে পুকুরে মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখেন। প্রথমে পুকুরে গ্যাসের কারনে মাছ মরে ভেসে উঠছে ধারণা করলেও পরে স্থানীয় ভ্যাটেরিনারি চিকিৎসককে দেখিয়ে নিশ্চিত হন পুকুরে গ্যাস/বিষ প্রয়োগের কারণেই সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। রাজাহার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ভুক্তভোগী মৎস্য চাষী রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় ২০ বছর যাবৎ বড়ট্র মৌজায় ১.৭৬ একর জায়গায় পুকুর খনন করে মাছ চাষ করছি।

এবার পুকুরে পাঙ্গাস, রুই ও মৃগেল মাছ চাষ করেছি। এতে আমার আনুমানিক ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। মাস ছয়েক পরে মাছগুলো বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠতো। পূর্বশত্রুতার জেরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার চাই। প্রতিবেশী নুর জাহান বেগম জানান, মাগরিবের কিছুক্ষণ আগে পুকুরে মাছ ভেসে উঠতে দেখি। বিষ প্রয়োগ করে মাছ মারা হয়েছে।
একই গ্রামের বাসিন্দা শাফিরুল জানান, রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার পথে চেয়ারম্যানের পুকুরে মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখি। শত্রুতার জেরে পুকুরে বিষয় প্রয়োগ করে মাছ মারা হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।