• ৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কানাডায় উল্টে গেছে যাত্রীবাহী বিমান, সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে

Mofossal Barta
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫, ১৭:১৩ অপরাহ্ণ
কানাডায় উল্টে গেছে যাত্রীবাহী বিমান, সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে

কানাডায় উল্টে গেছে যাত্রীবাহী বিমান, সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে

সংবাদটি শেয়ার করুন....

ডিজিটাল ডেস্ক: বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা ইনকর্পোরেটেড ভারতীয় বাজারে প্রবেশের লক্ষ্যে কর্মী নিয়োগ দেওয়া শুরু করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পরেই ভারতে কর্মী নিয়োগের ঘোষণা করল মার্কিন সংস্থা টেসলা। খবর এনডিটিভির।

উড়োজাহাজটি ঠিক কী কারণে উল্টে গেছে, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে দুর্ঘটনার আগে টরন্টোতে ব্যাপক তুষারপাত হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। যদিও দমকল বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ঘটনার সময় বিমানবন্দরের রানওয়ে শুষ্ক ছিল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার বেশ কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তুষারাবৃত টারমার্কে একটি উড়োজাহাজ উল্টে পড়ে আছে। ঘটনার পর ধারণ করা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, যাত্রীরা উল্টে যাওয়া বিমানের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছেন।

আমরা সবেমাত্র টরন্টোয় অবতরণ করেছি। আমাদের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, এটি উল্টে গেছে, বলছিলেন ভিডিও ধারণ করা এক যাত্রী।

উড়োজাহাজটির অন্তত একটি পাখা ভেঙে গেছে বলেও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডেল্টা এয়ারলাইন্সের ওই বিমানটি মিনিয়াপোলিস থেকে টরন্টো আসছিল। অবতরণকালে তাতে ৮০ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন।

দুর্ঘটনার পর সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। অন্টারিও এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানিয়েছে যে, দুর্ঘটনার পর তারা তিনটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হেলিকপ্টারসহ পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে।

টরন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডেবোরা ফ্লিন্ট এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন যে, বিমান উল্টানোর ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি।

বিমানের যাত্রীদের মধ্যে কানাডা ছাড়াও আরো অনেক দেশের নাগরিক ছিলেন বলেও জানান ফ্লিন্ট।

রানওয়েতে বিমান উল্টে যাওয়ার ঘটনাকে ‘গুরুতর ঘটনা’ বলে মন্তব্য করেছেন কানাডার পরিবহনমন্ত্রী অনিতা আনন্দ। তিনি নিবিড়ভাবে বিষয়টিকে পর্যবেক্ষণ করছেন বলেও জানিয়েছেন।

ঘটনার পর দ্রুত যাত্রীদের উদ্ধার করায় উদ্ধারকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ। অন্যদিকে, কানাডার ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (টিএসবি) বলেছে যে, তারা দুর্ঘটনার বিষয়ে ‘তথ্য সংগ্রহ ও মূল্যায়ন করার জন্য” একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে।

দুর্ঘটনার পর সাময়িক সময়ের জন্য বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অবশ্য স্বাভাবিক বিমান চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তবে তদন্তের জন্য বিমানবন্দরের দু’টি রানওয়ে বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর ফলে বিমান ওঠা-নামায় কিছুটা বিলম্ব হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তর আমেরিকায় একের পর এক বিমান দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে।

এর মধ্যে জানুয়ারির শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে একটি সেনা হেলিকপ্টারের সঙ্গে যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষে অন্তত ৬৭ জন প্রাণ হারান। এরপর ফিলাডেলফিয়ায় আরেকটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে কমপক্ষে সাতজন নিহত হন।