• ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরাইলি বিমানবন্দর ও মার্কিন রণতরীতে ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

Mofossal Barta
প্রকাশিত মার্চ ২৫, ২০২৫, ১৯:০২ অপরাহ্ণ
ইসরাইলি বিমানবন্দর ও মার্কিন রণতরীতে ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

এদিকে, ইয়েমেনি বাহিনী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, মার্কিন ও ইসরাইলি আগ্রাসন চলতে থাকলে তারা আরও কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  ইসরাইলের গাজা আগ্রাসন ও মার্কিন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইসরাইলি বিমানবন্দর ও মার্কিন রণতরীকে আবারও লক্ষ্যবস্তু করেছে। এতে বেনগুরিয়ন বিমানবন্দর ও মার্কিন রণতরীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সোমবার রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমনটাই দাবি করেছেন ইয়েমেনি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি। খবর মেহের নিউজের।

ইসরাইলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে হামলা

বিবৃতিতে ইয়াহিয়া সারি জানান, ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী সোমবার রাতে ইসরাইলের দখলকৃত ইয়াফা অঞ্চলের বেনগুরিয়ন বিমানবন্দরে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। যার মধ্যে ছিল জুলফিকার, অন্যটি সুপারসনিক ‘প্যালেস্টাইন-২’।

‘গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিশোধ নিতে এবং সংহতি প্রকাশের অংশ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে’, উল্লেখ করেন তিনি।

মার্কিন রণতরী হ্যারি এস ট্রুম্যান লক্ষ্য করে হামলা

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সারি আরও জানান, ‘ইয়েমেনি বাহিনী লোহিত সাগরে অবস্থান করা মার্কিন রণতরী ‘হ্যারি এস ট্রুম্যান’ এবং তার সঙ্গে থাকা কয়েকটি যুদ্ধজাহাজের ওপর একাধিক ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে’।

তার দাবি, এটি ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের ওপর দ্বিতীয় দফায় হামলা।

ইসরাইলি শিপিং বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি

ইয়েমেনি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আরও বলেন, ‘ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামুদ্রিক অভিযান অব্যাহত রাখবে এবং ইসরাইলি ভূখণ্ডে হামলাও অব্যাহত রাখবে, যতক্ষণ না গাজার অবরোধ তুলে নেওয়া হয় এবং হামলা বন্ধ হয়’।

ইয়েমেনের হাসপাতালে মার্কিন হামলা

এদিকে ইয়েমেনি সংবাদ সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, সোমবার মার্কিন যুদ্ধবিমান ইয়েমেনের সা’দা প্রদেশের আল-রাসুল আল-আজম অনকোলজি হাসপাতালে দুটি বিমান হামলা চালিয়েছে। এ নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে একই হাসপাতালে ১৩টি বিমান হামলা চালালো আমেরিকা।

এর আগে, গত ১৫ মার্চ মার্কিন বিমান হামলায় ৫৩ জন ইয়েমেনি নিহত হন।

ইয়েমেনের ক্যানসার কন্ট্রোল ফান্ড এই হামলাকে ‘অমানবিক যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ও রেড ক্রসকে দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।

মার্কিন প্রতিক্রিয়া

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, ইয়েমেনে ‘অবিরত সামরিক অভিযান’ পরিচালনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখে দ্বিতীয় রণতরী ‘ইউএসএস কার্ল ভিনসন’ মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন করার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।

এদিকে, ইয়েমেনি বাহিনী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, মার্কিন ও ইসরাইলি আগ্রাসন চলতে থাকলে তারা আরও কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখাবে।