মোহা,রোকনুজ্জামান দেশ নিউজ টিভিকে জানান, সঠিক তদন্তসাপেক্ষে ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আঃ কাদের আকন্দ ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ফুল করলাসহ কেটে ফেলা হয়েছে করলা গাছ সবেমাত্র ফুল করলা গাছে,মাচায় শুভা পেয়েছিলো করলা সহ ফুল এসেছিল গাছগুলোতে। কিন্তু ওই করলার মাচায় থেকে আসা মাত্রই ২১শতাংশ জায়গার করলার গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। পুর্বের শত্রুতার জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন করলা চাষি মাল্লিক নাজমা আক্তার।
শুক্রবার ৪/৪/২০২৫ তারিখে দিবাগত রাতে ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের দোলমা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গাছ মালিক কৃষাণি মোছাঃ নাজমা আক্তার বাদী হয়ে ফুলবাড়ীয়ায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগপত্র ও এলাকাবাসীসূত্রে জানা গেছে, আড়াই মাস আগে তারা স্বামী স্ত্রী মিলে ২১শতাংশ জমিতে করলার চাষ করেন। পূর্বের জমি সংক্রান্ত জের ধরে তার আপন বড় ভাই মোঃ আহাদুল্লাহ (৫২)পিতা-মৃত্যু রুস্তম আলী,তার ছেলে রিপন মিয়া (৩০),তার ভাতিজা মোঃ জাফর আলী (৩৫) পিতা-মৃত্যু ইব্রাহিম খলিল, এবং তার দুই স্ত্রী বানু আক্তার ও ফাহিমা আক্তার, একই গ্রামের তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী আবেদা খাতুন ভোর ৫টার সময় করলার ক্ষেত কেটে ফেলেন। সরেজমিনে গিয়ে জানায়, নাজমা আক্তারের স্বামী শফিকুল ইসলাম আহাদুল্লাহর ছোট ভাই আলী মিয়ার কাছে ২০২১ সালে ৩৫শতাংশ জমি এক লক্ষ দশ হাজার টাকা দিয়ে শফিকুল ইসলাম লিজ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ করে আসছেন। এর আগে আহাদুল্লাহর ছোট ভাই আলী মিয়ার সাথে জমি সংক্রান্ত ঘটনায় জের ধরে নাজমার সিম চাষের সময় সিম গাছকেটে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং ধান কেটে নিয়ে যায় আহাদুল্লাহর গংরা। পরে বিষয়টি নিয়ে ঝগড়া-বিবাদের সৃষ্টি হয় এবং স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে তা নিষ্পত্তি করা হয়। এরই মধ্যে গত শুক্রবার ভোরে আহাদুল্লাহর লোকজন ২১শতাংশ জমির করলার গাছে কেটে ফেলেন।
নাজমা আক্তার জানান, সবেমাত্র গাছগুলোতে ফুল করলা এসেছে এমন সময়ে গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে।আমি বাড়ীর গেইট খুলে দেখতে পাই তারা আমার করলা ক্ষেতে আমি ডাক চিৎকার শুরু করলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে দেখতে পাই আমার লাগানো করলা গাছ কেটে ফেলছে। আহাদুল্লাহর ছোট ভাই আলী মিয়া জানান,আমার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে ৫২শতাংশ কোট মারফত এফিডেট করে ক্রয় করি, ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত। সে এখন বলছে জমি বিক্রি করে নাই, আমি ওমান প্রবাসে থাকি ছুটিতে বাড়িতে থাকতে পারছি না, আমার বড় ভাইয়ের ছোট স্ত্রী ভানু আক্তার আমাকে নারীর নির্যাতনের মামলা দিয়ে দেখে নিবে,বিদেশ যাওয়া বন্ধ করে দিবে। নারী নির্যাতনের মামলার ভয়ে আমি এখন আমার শশুরালয় থাকি বাড়ী যাইতে পারছি না।।এর আগে ধান কাটার ঘটনার সময় আমার বড় ভাই অন্ধ প্রতিবন্ধীকে আমিরুল ইসলাম কে মাথা ফাটিয়ে দেয়, আমার বড় বোন নাজমাকে মারাত্মক ভাবে আহত করে।এই ঘটনায় দেশ নিউজ টিভি কে আহাদুল্লাহ বলেন, এইসব চক্রান্ত আমি কোন গাছ কাটি নাই, আমার ছোট ভাইয়ের কাছে কোন জমি বিক্রি করি নাই।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহা,রোকনুজ্জামান দেশ নিউজ টিভিকে জানান, সঠিক তদন্তসাপেক্ষে ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।