তালা থানা অফিসার ইনচার্জ শাহনুর রহমান জানান,লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই বিস্তারিত জানা যাবে।
ব্যুরো প্রধান খুলনা মোঃ বাবুল সানা: তালার শিরাশুণী গ্রামে আব্দুল হান্নান শেখ (৫৫) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। রবিবার ৬ এপ্রিল সকালে বাড়ির পাশের একটি আমবাগানের গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে শিরাশুণী গুচ্ছগ্রামের মৃত শামছুর রহমান শেখ এর ছেলে।
তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন।পরিবারের দাবি,পরকীয়ার বলি হলেন আমার স্বামী হান্নান শেখ।
থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।
এলাকাবাসী জানায়,আগের রাতে একই গ্রামের অপর বাসিন্দা জনৈকা ফরিদা বেগমের সাথে তার বাক-বিতন্ডা ও হাতাহাতি হয় এবং হাতাহাতির একপর্যায়ে হান্নানের হাতে থাকা লাঠির আঘাতে আহত হন ফরিদা বেগম।
এসময় তাদের বাক-বিতন্ডায় রীতিমত অতিষ্ঠ হয়ে লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ফরিদা বেগমকে রক্তাক্ত আহত অবস্থায় সেখানে পড়ে থাকতে দেখে এবং আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে ভর্তি করে।তবে হান্নানকে তারা সেখানে দেখেননি।পরের দিন অর্থাৎ ০৭/০৪/২০২৫ ইং তারিখে সকালে স্থানীয়রা ফরিদার বাড়ির পেছনে মিন্টুর বাগানে আমগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পান।
স্থানীয় বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন, মাজেদ মোড়ল, আবুল হোসেন সহ অনেকের সাথে ঐ মহিলার পরকীয়া চলছিল।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফরিদা বেগম জানান,হান্নান গত রাতে প্রতিদিনের ন্যায় আমার বাড়িতে আসে এবং পয়সাওয়ালা লোকের সাথে সম্পর্কে জড়াচ্ছে মর্মে বাগবিতণ্ডা শুরু করে এবং আমার উপর হামলা করে মাথা ফাঁটিয়ে দেয়। এরপর ফরিদা বেগম সেখানে জ্ঞান হারান।
হান্নানের পরিবারের অভিযোগ, ফরিদার সাথে হান্নানের অবৈধ সম্পর্কের জের ধরে তাকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ফজিলা বেগম যেটা জানিয়েছেন ঘটনাটি ঘটেছে হান্নান ও ফরিদার মধ্যে পরকিয়ার জের ধরে,কিন্তু সাইফুল ইসলাম নামে কাউকে ঘটনার সময় সেখানে দেখি নাই।আরও এক প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী বিউটি বেগম তিনি যেটা জানিয়েছেন ঘটনাটি ঘটেছে দুইজনের মধ্যে কিন্তু বাইরের কোনো লোক সেখানে আমরা দেখতে পাইনি।
উক্ত ঘটনার বিষয় সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি যেটা জানিয়েছেন যে আমার ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট করার স্বার্থে কে বা কাহারা আমার নামে মিথ্যা ধুম্রজাল ছড়াচ্ছে এবং এ ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নাই।
স্থানীয়রা আরও জানান, ফরিদার দু’ছেলে রয়েছে। যাদের একজন দেলোয়ার বাইরে ইটভাটায় কর্মরত। অন্যজন চুকনগর এলাকায় ডেকরেটরের কাজ করেন। সে মায়ের অসুস্থতার খবরে রাতে বাড়িতে ফিরে মাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
তালা থানা অফিসার ইনচার্জ শাহনুর রহমান জানান,লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই বিস্তারিত জানা যাবে।