যদিও আলোচনার সফল হওয়া নিয়ে এখনি নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না, তবুও সংশ্লিষ্ট ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেছেন, চলমান মধ্যস্থতা চেষ্টাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং হামাস আলোচনায় ‘অভূতপূর্ব নমনীয়তা’ প্রদর্শন করছে, যা অতীতে দেখা যায়নি।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নতুন প্রস্তাবটিতে পাঁচ থেকে সাত বছরের যুদ্ধবিরতি, যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি, গাজা থেকে সম্পূর্ণ ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং ইসরাইলি কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে অবশিষ্ট ইসরাইলি পণবন্দীদের মুক্তি অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতি ও সেখান থেকে ইসরাইলি সৈন্যদের পূর্ণ প্রত্যাহারের পাশাপাশি বন্দী বিনিময়ের একটি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি আলোচনার সাথে পরিচিত একজন সিনিয়র ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
নতুন প্রস্তাবটিতে পাঁচ থেকে সাত বছরের যুদ্ধবিরতি, যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি, গাজা থেকে সম্পূর্ণ ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং ইসরাইলি কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে অবশিষ্ট ইসরাইলি পণবন্দীদের মুক্তি অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
হামাসের একটি সিনিয়র প্রতিনিধিদলের পরামর্শের জন্য মিসরের রাজধানী কায়রোতে আসার কথা রয়েছে। আলোচনায় দলটির পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করবেন রাজনৈতিক পরিষদের প্রধান মোহাম্মদ দারবিশ ও প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া। তবে মধ্যস্থতাকারীদের পরিকল্পনা সম্পর্কে ইসরাইল কোনো মন্তব্য করেনি।
যুদ্ধবিরতি আলোচনার সাথে সংশ্লিষ্ট ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান, হামাস ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা গাজার শাসনভার এমন একটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত, যা জাতীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে সম্মত একটি সংগঠন হতে পারে। এটি হতে পারে পশ্চিম তীরে অবস্থিত বর্তমান ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) কিংবা নতুন করে গঠিত একটি প্রশাসনিক কাঠামো।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস কয়েকদিন আগেই ইসরাইলের একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। ওই প্রস্তাবে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে হামাসের নিরস্ত্রীকরণের দাবি জানানো হয়েছিল, যা তারা মেনে নেয়নি।
এদিকে শনিবার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং সব ইসরাইলি পণবন্দীকে মুক্ত না করা পর্যন্ত তিনি যুদ্ধ বন্ধ করবেন না।
অপরদিকে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরাইলকে প্রথমে যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির নিশ্চয়তা দিতে হবে। এরপরই পণবন্দীদের মুক্তি দেয়া সম্ভব।
যদিও আলোচনার সফল হওয়া নিয়ে এখনি নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না, তবুও সংশ্লিষ্ট ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেছেন, চলমান মধ্যস্থতা চেষ্টাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং হামাস আলোচনায় ‘অভূতপূর্ব নমনীয়তা’ প্রদর্শন করছে, যা অতীতে দেখা যায়নি।