• ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোদি-পেজেশকিয়ান ফোনালাপ: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপের আহ্বান”

Mofossal Barta
প্রকাশিত এপ্রিল ২৮, ২০২৫, ১৪:৫৮ অপরাহ্ণ
মোদি-পেজেশকিয়ান ফোনালাপ: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপের আহ্বান”

মোদি আরও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য, বিশেষ করে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধ, শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের ওপর জোর দেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সম্মিলিত পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।

শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে পেজেশকিয়ান ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানান।

পেজেশকিয়ান বলেন, এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা আঞ্চলিক দেশগুলোর ওপর যৌথ দায়িত্ব আরোপ করে এবং সন্ত্রাসবাদের মূল উৎপাটনের জন্য সহমর্মিতা, সংহতি ও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা তৈরি করে, যাতে অঞ্চলটির জনগণের জন্য স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা যায়।

তিনি আরও বলেন, ইরান ভারতের জনগণ এবং শান্তি, বন্ধুত্ব ও সহাবস্থানের দূত মহাত্মা গান্ধী ও জওহরলাল নেহরুর মতো মহান ব্যক্তিত্বদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ধারণ করে। প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান আশা প্রকাশ করেন, এই চেতনা ভারতের আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও প্রতিফলিত হবে।

দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে ইরানি প্রেসিডেন্ট বাণিজ্য ও অবকাঠামো খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি জানান, ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চাবাহার বন্দরের উন্নয়ন অঞ্চলীয় কৌশলগত সহযোগিতার একটি কেন্দ্র এবং ইরান-ভারত-রাশিয়ার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করতে পারে।

পেজেশকিয়ান ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তেহরান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ইরান ভারতকে সঙ্গে নিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক পরিবেশে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করতে চায়।

এসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ইরানের সহানুভূতি প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আঞ্চলিক ঐক্য ও বিস্তৃত সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে দিল্লি সম্পূর্ণ একমত।

তিনি ইরানের শান্তি ও নিরাপত্তা জোরদারে গঠনমূলক ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং বলেন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভারতের সমর্থন ইরানের সঙ্গে রয়েছে।

মোদি আরও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য, বিশেষ করে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধ, শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের ওপর জোর দেন।

এছাড়া তিনি ইরানের শাহিদ রাজাঈ বন্দরে প্রাণঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং এ বিপর্যয়ের পরবর্তী ব্যবস্থাপনায় ভারতের সহায়তার প্রস্তাব দেন।