ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মানুষরা আবার সব গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এমন সময় এই হামলার ঘটনা ঘটল। স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, হামলাটি ওই অঞ্চলের ওয়ে হতেন কুইন গ্রামে করা হয়েছে সকাল ১০টার দিকে।
অনলাইন ডেস্ক: মায়ানমার সামরিক বাহিনী গতকাল সোমবার একটি স্কুলে বিমান হামলা চালিয়েছে। প্রথমে ১৭ জন স্কুল ছাত্র নিহত হওয়ার কথা বললে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ জন। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত ২২ জনের মধ্যে ২০ জন শিশু। ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরে একটি মানবিক যুদ্ধবিরতির মাঝেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মানুষরা আবার সব গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এমন সময় এই হামলার ঘটনা ঘটল। স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, হামলাটি ওই অঞ্চলের ওয়ে হতেন কুইন গ্রামে করা হয়েছে সকাল ১০টার দিকে।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বিমান হামলার খবরে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
নিউইয়র্কে তার মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বিদ্যালয় এমন জায়গা হওয়া উচিত যেখানে শিশুরা নিরাপদে পড়াশোনা করতে পারে, সেখানে বোমা বিস্ফোরিত হতে পারে না।’
সবুজ রঙের স্কুলটি হামলায় ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। স্কুলের ধাতব ছাদটি ভেঙে পড়েছে এবং দেয়ালগুলোর মধ্যে বিশাল গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। স্কুলের বাইরে মায়ানমারের পতাকা উড়তে থাকা খুঁটির সামনে এক ডজনেরও বেশি ফেলে রাখা স্কুলব্যাগ জমে ছিল।
অন্যদিকে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের মৃতদেহগুলো দাফন করছিলেন।
স্কুলের ৩৪ বছর বয়সী এক শিক্ষক ( নাম প্রকাশ করতে চাননি) বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মোট ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২০ জন শিশু এবং ২ জন শিক্ষক। আমরা চেষ্টা করেছিলাম শিশুদের বাঁচাতে, কিন্তু যুদ্ধবিমানটি খুব দ্রুত এসেছিল এবং বোমা ফেলে চলে যায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি এখনও পুরো হতাহতের তথ্য সংগ্রহ করতে পারিনি কারণ অভিভাবকরা দিশেহারা হয়ে গেছেন।
’ তবে স্থানীয় শিক্ষা কর্মকর্তা একই সংখ্যক মৃতের কথা জানান।
তবে মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এ ঘটনা ‘গুজব’ বলে দাবি করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, ‘কোনো সামরিক লক্ষ্যবস্তু না থাকায় বিমান হামলা চালানো হয়নি।’
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মায়ানমার গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত। সামরিক বাহিনী তীব্র ক্ষতির সম্মুখীন হলেও তারা নানা জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী ও বিপ্লবী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সামরিক সরকার জানিয়েছে, তারা এই মাসে পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেছে। ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর একাধিক মানুষের প্রাণহানির পর যুদ্ধবিরতি দেওয়া হয়।