• ৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ ‘বাতিল’ করতে হবে : ট্রাম্পের দূত

Mofossal Barta
প্রকাশিত মে ১৯, ২০২৫, ১৯:৩০ অপরাহ্ণ
ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ ‘বাতিল’ করতে হবে : ট্রাম্পের দূত

বুধবার এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত উইটকফ বলেছেন, ওয়াশিংটনের সাথে চুক্তি করতে চাইলে তেহরানকে অবশ্যই তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণসহ পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি সম্পূর্ণরপে ‘বাতিল’ করতে হবে। আগামী শনিবার মাস্কাটে দ্বিতীয় দফা আলোচনা শুরুর আগে এই দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বুধবার এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

উইটকফের এই মন্তব্য তার আগের দিন করা মন্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক। কারণ, উইটকফ আগের দিন বলেছিলেন, ইরান শক্তি উৎপাদনের জন্য যদি খুব কম পরিমাণে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে তাহলে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি থাকবে না।

অথচ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে উইটকফ বলেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য যেকোনো চূড়ান্ত ব্যবস্থার মধ্যে একটি কাঠামো তৈরি করতে হবে। যার অর্থ ইরানকে তার পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ এবং অস্ত্রায়ন কর্মসূচি সম্পূর্ণ ‘বাতিল’ করতে হবে।

উইটকফ জানিয়েছেন,  ‘বিশ্বের জন্য এটা অপরিহার্য যে আমরা একটি কঠিন, ন্যায্য চুক্তি করবো যা টেকসই হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাকে এটাই করতে বলেছেন।’

উইটকফের মতো একই কথা বলেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাতিল চায় বলে জানায় স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

এরআগে গত শনিবার ওমানে একটি পারমাণবিক চুক্তিতে পৌঁছাতে প্রথম দফার আলোচনায় বসে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান।

এতে ইরানের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ নেতৃত্ব দেন। এই বিষয়ে তেহরান জানায়, প্রথম দফার আলোচনা ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধার ওপর ভিত্তি করে একটি গঠনমূলক পরিবেশে হয়েছে।

ট্রাম্প সম্প্রতি ইরানকে হুমকি দিয়েছেন, যদি তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নতুন চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সামরিক হামলা এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

এরআগে ২০১৫ সালে ইরানের সাথে বিশ্ব পরাশক্তিগুলোর একটি চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প সেই চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন।