ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কোনো ধরনের অনাহার সংকট যাতে না দেখা দেয়, তা নিশ্চিত করতেই গাজায় সামান্য পরিমাণ খাদ্য প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সুপারিশে নেয়া হয়েছে, যাতে হামাসের বিরুদ্ধে নতুন সামরিক অভিযান অপারেশন গিডিওন’স চ্যারিয়ট কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যায়।
ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা গাজা থেকে জিম্মিদের মুক্ত ও হামাসকে পরাজিত করতেই এই অভিযান শুরু করেছে।
ইসরায়েলি হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণের খান ইউনিস শহর, উত্তরের বেইত লাহিয়া ও জাবালিয়া শরণার্থী শিবির। গাজার সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণাঞ্চলের আল-মাওয়াসি ক্যাম্পে রাতভর বোমাবর্ষণে ২২ জন নিহত ও আরো ১০০ জন আহত হয়েছেন। অথচ এই ক্যাম্পটিকে আগে নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
এর আগেও ১০ সপ্তাহের টানা অবরোধে গাজায় কোনো ধরনের খাদ্য, জ্বালানি বা ওষুধ প্রবেশ করতে দেয়নি ইসরায়েল। ফলে ২১ লাখ জনগণের বাসস্থান গাজায় দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি বেড়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবিক সহায়তাকারী সংস্থা। এরইমধ্যে পুষ্টিহীন শিশুদের ছবি ও বিবরণ সামনে এসেছে, যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা ফুটিয়ে তোলে।
ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-নোয়েল ব্যারো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গাজায় ত্রাণ সহায়তার তাৎক্ষণিক, ব্যাপক ও বাধাহীন প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে।‘
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৩ হাজার ৩৩৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং আহত আরো অন্তত ১ লাখ ২১ হাজার ৩৪ জন।