নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যানবাহন শাখায় কিছু কর্মকর্তা কর্মচারি যেনো হাতে পেলো আলাদিনের চেরাগ।সরেজমিন তদন্তে এমন তথ্য বের হয়ে এসেছে। বিমানের প্রাক্তন এমডির নাম ভাংগিয়ে কিছু অসাধু লোকজন হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। অথচো এর কিছুই জানতেন না প্রাক্তন এমডি মহোদয়। বিমান রাষ্টিয় পতাকাবাহী এবং বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া তার সপ্নের এয়ারলাইন্স। বিমান আকাশে পাখা মেলার জন্য যেখানে যানবাহন শাখা খুবই গুরুত্বপুর্ন একটি শাখা । অথচ এই শাখায় কিছু অদক্ষ, অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী থাকায় এটি হয়ে উঠেছে বিমানের বিষফোড়া। বিমানের যানবাহন শাখার অদক্ষ ম্যানেজমেন্টের তত্তাবধানে এমডি, ডিরেক্টর, এবং কিছু জি,এম, ডি জি এমদের ডিউটি টাকার বিনিময়ে বন্টন করা হচ্ছে এবং এর পেছনে কালো ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে যানবাহন শাখার বর্তমান ম্যানেজমেন্ট। যোগ্য অপারেটরদের যোগ্য ডিউটি বন্টন না করে টাকার বিনিময়ে ডিউটি বিক্রি করে অযোগ্য লোকদের এসব ডিউটি দেয়ার কারন ছিলো বিমানের যানবাহন শাখাকে ধংশ করার চিন্তা চেতনা।অথচো সেই ম্যানেজমেন্ট আবারো বহাল তুবিয়াতে নিজ নিজ চেয়ারে বসে আছেন। এবং তারা সংঘবদ্ধ ভাবে এক নতুন খেলা শুরুর পরিকল্পনা করেন।।সেখানে লিগালের জি এম রাশেদ সাহেব, জি এম আইটি আনোয়ার সাহেবদের ব্যাবহার করে এমডির কাছাকাছি গিয়ে তার মন জয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবং শুরু হয় তাদের নতুন করে দুর্নিতির সাথে আরো বহু বছরের পরিকল্পিত পথচলা।ইতিমধ্যে যানবাহন শাখার কিছু নিলামের গাড়ি নিলাম না করে সেটাকে মেরামতের নামে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ বাংলা টাকা। এবং এর সাথে জড়িত হেড মেইন্টেনেজ সালজার গ্রপেরা । উল্লেখিত গাড়ির নাম্বার সমুহ ( ৫১১৫,৫১১৮,৫১১৯,৫১২০,৫১২৩,৫১৩৭,৩০৪৯,৩০৫০,৩০৫১,৩০৫২,৩০৫৩) এবং চলমান প্রক্রিয়ায় আছে মিতসুবিসুর আরো বহু অকেজো গাড়ি। অথচো বিমানের নতুন গাড়ি ক্রয়ের সম্পুর্ন প্রক্রিয়া চুড়ান্ত। এবং এসব গাড়িসমুহে এসি না লাগিয়ে এসির বিল করা হয়েছে। এবং এই গ্রুপের সাথে জড়িত আরো প্রমুখরা হলো শামিম রেজা ফারুকি যানবাহন শাখার ১৩০৮ এর কর্ণধার যেটা কিনা জামাত শিবিরের নিষিদ্ধ সংগঠন,ইকবাল কবির খান, মোঃ আলি জিন্নাহ ওরফে কালা জিন্নাহ (২০১৪ সালের বাগের চামড়া এবং হরিনের চামড়া সহ আটককৃত আসামি তাদের মামলা এখনো চলমান আছে এবং তারা ক্ষমতা দেখিয়ে চাকরিতে বহাল )। এমডির বর্তমান অপারেটর মোঃ রকিবুল ইসলাম।জি এম লিগালের অপারেটর মোঃ এম হাসান যে কিনা বিমানের বুুদ্ধিজিবি হিসেবে আক্ষায়িত। বর্তমানে এদের নিয়ন্ত্রনে চলছে যানবাহন শাখা।এবং এখনো টাকার বিনিময়ে চলছে ডিউটি বন্টন। টাকা দিলেই মিলছে এমডি,চেয়ারম্যান, ডিরেক্টর, জি এম এবং ডিজিএমদের ডিউটি।এবং ভাড়াকৃত গাড়ি থেকে আসছে তাদের পকেটে মোটা অংকের কমিশন। যার কারনে নতুন গাড়ি ক্রয়ের কোনো চিন্তা ভাবনা তাদের মাথায় নেই। উল্লেখ্য এমডি সাহেবের বর্তমান অপারেটর মোঃ রকিবুল মানবতা বিরোধি অপরাধ ফাসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি মতিউর রহমান নিজামির আত্বিয় এবং বিমানের ভি ভি আইপি ডিউটি পালনের জন্য যে পাশের আবেদন করা হয় সেখানে প্রশাসনিক তদন্তে দেখা যায় সে একজন জামাত শিবিরের কর্মি এবং উক্ত রিপোর্ট বিমান সিকিউরিটির হাতে রয়েছে। বিমানের উচ্চ কর্মকর্তার অপারেটর হিসেবে ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে ক্ষমতা দেখিয়ে এই গ্রূপটি খুব সহযে চালিয়ে যাচ্ছে এসব অপকর্ম এবং কামিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। এবং এরা সম্পুর্ন মায়ের কেলের মত নিরাপদে রয়েছেন যানবাহন শাখার বর্তমান উপ মহাব্যবস্থাপক মোঃ তারেক আলমগিরের ছত্র ছায়ায়। যেহেতু সেকশন প্রধান ১৩০৮ (বিমানের নিষিদ্ধ সংঘঠনের নেতা) তাদের দলের লোক কে কে আর আটকায় এই পাবনা,ইজমদের !!এ বিষয়ে বিমানের প্রাক্তন এমডিকে লিখিত চিঠি দেয়ার পড়েও হয়নি কোনো সুরাহা। এবং কেহো এই ব্যাপারে মুখ খুললে আসছে চাকরি হারোনো সহ বদলির হুমকি।এই বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে যানবাহন শাখার অত্যাচারিত সাধারন কর্মকর্তা কর্মচারিরা। তারা জানিয়েছেন আমরা আওয়ামীলীগ করি বলেই এদের হাতে নির্যাতনের স্বিকার হচ্ছি। আরো আসছে আমাদের পরবর্তি অনুসন্ধানে।