শাহাদাৎ হোসেন সরকারঃ
শিল্প অঞ্চল আশুলিয়ায় লাখ লাখ শ্রমজীবী মানুষের বসবাস এই মানুষ গুলোকে কেন্দ্র করে আশুলিয়ার আনাচে কানাচে ভুয়া ডাক্তারের ছড়াছড়ি।
প্রায় প্রতিনিয়তই অপচিকিৎসার শিকার হয়ে অকালে ঝরে গেছে হাজার ও তাজা প্রাণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ ।
ডাঃ নামক এসকল চিকিৎসকরা এমবি বিএস পাশ না করলেও নামের আগে ডাঃ লেখে বিভিন্ন অংকের ভিজিট নিয়ে প্রেসক্রিপশন দিয়ে অপচিকিৎসা করে আসছে যাহা দেখার কেউ নেই।
এমনি একজন ডাক্তার মোঃ জাহিদুল ইসলাম তিনি আশুলিয়ার নরসিংহপুর বাংলাবাজারে এক চিপায় চেম্বার করে তিনশত টাকা ভিজিট নিয়ে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এমন পরিচয়ে প্রেসক্রিপশন দিয়ে করছেন চিকিৎসা।
উক্ত চেম্বারের সামনে গেলে দেখা যায় তিনি এম,সি,এইচ(ঢাকা) মা ও শিশু রোগ মেডিসিন ও সার্জারিতে বিশেষজ্ঞ।
যার রেজিস্ট্রেশন নং ১০৪৭৯।
এবিষয়ে জানতে ডাঃ জাহিদুল ইসলাম এর সাথে দেখা করতে চাইলে তিনি কৌশলে পালিয়ে যায়।
তার প্রেসক্রিপশন দেখে জানা যায় তিনি একজন ডিপ্লোমা এসিস্ট্যান্ট। সেখানেও লেখা রয়েছে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় এমবিবিএস অর্থাৎ বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত নামের পূর্বে কোন ব্যক্তি ডাক্তার লিখে চিকিৎসা দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ।
অথচ মোঃ জাহিদুল ইসলাম ডিপ্লোমা কোর্স করে নামের পূর্বে ডাক্তার লিখে দীর্ঘদিন যাবত বাংলাবাজার এলাকায় চিকিৎসা দেওয়াসহ প্রেসক্রিপশন দিয়ে আসছেন। এতে করে হতাশ এলাকাবাসী।
আরো জানা যায় আশুলিয়ার ইউনিক আলিয়া মাদ্রাসা রোড প্রতিদিন বিকেল চার ঘটিকার সময় প্রায় ৩০ জনের একটি গ্রুপ কে ডিপ্লোমা কোর্সে ডাক্তার বানিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জয় নামে এক ব্যক্তিসহ একটি চক্র।
এলাকাবাসি বলছেন স্থানীয় প্রশাসন উপরোক্ত বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে এসকল ভুয়া ডাঃদের অপচিকিৎসা বন্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এমনইটাই আশাবাদি সাধারণ মানুষ।
তবে, বি,এম,ডিসি রেজিস্ট্রেশন অর্থাৎ এম,বি,বিএস ডাঃ ব্যতীত কেউ নামের পূর্বে ডাক্তার লিখতে পারবেনা।
বি,এম,ডিসি রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত কেউ চিকিৎসা প্রদানসহ নামের পুর্বে ডাঃ লেখলে তাহা দণ্ডনীয় অপরাধ বলে জানান ডাঃ সায়েমুল হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন কারো বিরুদ্ধে এমন তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে তদন্ত অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে গ্রহণ করা হবে কঠোর আইনি ব্যবস্থা ।