• ৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুন্সীগঞ্জে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৮ সদস্য গ্রেফতার

Mofossal Barta
প্রকাশিত অক্টোবর ১৭, ২০২৪, ১৮:০৪ অপরাহ্ণ
মুন্সীগঞ্জে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৮ সদস্য গ্রেফতার
সংবাদটি শেয়ার করুন....

মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একাধিক ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা জেলা, সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের ৮ সদস্যকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছে তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি ম্যাগজিন ও ২৮ রাউন্ড গুলিসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন যাবত রাতের আঁধারে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা মাওয়া মহাসড়কের নির্জন স্থানে যানবাহন থামিয়ে অস্ত্রের মুখে চালকসহ যাত্রীদের জিম্মি করে বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে এই চক্রের সদস্যরা। পরে একটি ডাকাতি মামলার সূত্র ধরে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

 

পুলিশ সুপার আরও জানান, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন থামিয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।

এ ছাড়া পুলিশ সুপার জানান, গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে যশুরগাঁও এলাকায় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের প্রাইভেটকার থামিয়ে তিনিসহ তার পরিবারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরদিন মামলা হলে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে গতকাল বুধবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত মো. কামাল পহলানকে (৪২) ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর সদস্য মো. আলমগীর(৪৫), রাজিব হাওলাদার (৪৩), মো. মোখলেছ (২৩), মো. রবিন (২৩) ও মোহাম্মদ হেলালকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি ম্যাগাজিন, ২৮ রাউন্ড গুলি, দুটি মোবাইল ফোন দুটি বিদেশি হ্যান্ডব্যাগ, দুটি ডেবিট ও একটি ক্রেডিট কার্ড উদ্ধার করা হয়।

অপরদিকে, একই মাসের ২৭ তারিখ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যবসায়ী তাজউদ্দিন ও চাইনিজ নাগরিক লিওর গাড়ি আটকে ডাকাতির ঘটনা ঘটায় ডাকাত চক্রের অন্তত ১০ সদস্য। এ ঘটনায় গজারিয়া থানায় মামলা হলে গজারিয়ার একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত রাহাত মিয়া (২১) ও মো. শাহীনকে (২২) গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতার ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ফলে তাদের আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ড চাওয়া হবে জানান পুলিশ সুপার। এ ছাড়া ডাকাতির ঘটনায় অন্য কোনো মোটিভের বিষয় আছে কিনা, সেটি খতিয়ে দেখে বাকি আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।