• ৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উপজেলা প্রসাশনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও বন্ধ হচ্ছেনা অবৈধ ড্রেজার।

Mofossal Barta
প্রকাশিত অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ১৩:০৮ অপরাহ্ণ
উপজেলা প্রসাশনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও বন্ধ হচ্ছেনা অবৈধ ড্রেজার।
সংবাদটি শেয়ার করুন....

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ১৬ নং ধামঘর ইউনিয়নের নোয়াখলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় কৃষি মাঠে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালীরা। সাবেক যুগ্ম সচিব মো নাজির হোসেন প্রভাব খাটিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এতে শত শত একর কৃষি জমি হুমকির মুখে পড়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি।
কৃষি মাঠে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দা কালা মিয়া জানান ড্রেজার মেশিন মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো কিছুরই তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলনের সব কাজ শূরু করে দিয়েছেন।কৃষি জমি থেকে কয়েক কোটি টাকার বালু উত্তোলন করে বিক্রির পাঁয়তারা করছে সাবেক সচিব নাজির হোসেন মোঃ বাবুল মিয়া গংরা এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারের কাছে কোনো অনুমতি না নিয়েই অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে নিজেরা লাভবান হওয়ার স্বার্থে বালু উত্তোলন করে বিক্রির কাজ শূরু করে দিয়েছে । তাছাড়া কৃষি জমিতে বসানো হয়েছে ড্রেজার মেশিন। এ নিয়ে বাঁধা দিলে তাদের নানা রকম হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে।

মাটি উত্তোলনের কারণে শত শত একর জমির ধান, পাটসহ ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়বে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নোয়াখলা কৃষি মাঠে যাদের জমি রয়েছে তাদের মধ্যে বাশার মিয়া, মাহাবুব, বাবুল , ইব্রাহিম , ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, কৃষি মাঠে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ নিয়ে বাঁধা দিলে তাদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া বালু উত্তোলনের ফলে বিশাল এলাকা নিয়ে ধসে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। এমনটি হলে কৃষি মাঠে উৎপাদিত ধান, পাটসহ বিভিন্ন ফসলি জমি নষ্ট হবে। কৃষি মাঠের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া সড়কটিও ধসে পড়বে হুমকির মুখে। অভিযোগ কারী জহির মিয়া জানান গত ২৯/৯/ ২৪ ইং তারিখে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন এর নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি তবে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ।

তারা জানান, কৃষি মাঠে শতাধিক ব্যক্তির মালিকানা জমি রয়েছে। স্থানীয়রা আক্ষেপ করে বলেন ড্রেজার মালিক বাবুল মিয়া নাকি বলেন ১৬ নং ধামঘর ভূমি উপ-সহকারী অফিস কর্মকর্তাদেরকে কে মেনেজ করে আমি ড্রেজার চালাই। আরেক ভূক্তভূগী নাম না বলার শর্তে জানান গত বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ এসে এক দুইটি পাইপ বিনষ্ট করে চলে যাওয়ার পর সন্ধায় বাবুল মিয়া জোর গলায় বলেন এই জায়গার মালিক সাবেক উপ সচিব কাজী নাজির হোসেনের মাধ্যমে মুরাদনগর এসিল্যান্ড থেকে অনুমতি নিয়ে আসছি আমাদের আর কোন আইনি বাধা নেই তবে এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) সাকিব হাসান খান কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন লিখত বা মৌখিক কোন প্রকার অনুমোদন দেওয়ার সূযোগ নেই।

ভুক্তভোগীরা জানান, কৃষি মাঠ থেকে যাতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন না করা হয় এবং ফসলি জমি সহ পাকা সড়ক রক্ষার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানানো হয়।

এ ব্যাপারে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন অবৈধ ড্রেজার স্থায়ী ভাবে বন্ধ করতে হলে আমার নিকট লিখিত অভিযোগ দেন তাহলে স্থায়ী ভাবে ড্রেজার বন্ধ করা যাবে