• ৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এর শুভ উদ্বোধন করেন মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ

Mofossal Barta
প্রকাশিত জুন ১, ২০২৪, ১৯:২১ অপরাহ্ণ
বরিশালে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এর শুভ উদ্বোধন করেন মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

 

বরিশালঃ
নগরসহ বরিশাল জেলায় স্বতঃস্ফূর্ত ভিটামিন এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ৬৬ হাজারের বেশি শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।

শনিবার (০১ জুন) সকালে নগরের আলেকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

 

সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মোঃ ইসরাইল হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান, মেয়র পত্নী লুনা আব্দুল্লাহসহ নগর ভবনের কর্মকর্তা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

জানাগেছে, ক্যাম্পেইনের আওতায় বরিশাল নগরের ৩০ টি ওয়ার্ডে ১২-৫৯ মাস বয়সের ৫০ হাজার জন শিশুকে লাল রঙের একটি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ও ৬-১১ মাস বয়সের ৯ হাজার শিশুকে নীল রঙের একটি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।

 

অপরদিকে বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় ১২-৫৯ মাস বয়সের ২ লাখ ৭৩ হাজার ৭৩১ জন শিশুকে ২ লাখ আন্তর্জাতিক ইউনিটের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লাল রঙের একটি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ও ৬-১১ মাস বয়সের ৩৩ হাজার ৯৭৬ জন শিশুকে ১ লাখ আন্তর্জাতিক ইউনিটের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন নীল রঙের একটি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।

 

জেলার সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, এ ক্যাম্পেইনের আওতায় বরিশাল জেলার ১০ টি উপজেলায় ৮৭ টি ইউনিয়নের ২৫৮ টি ওয়ার্ডে ২ হাজার ৬০ টি অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। এছাড়া প্রতি উপজেলায় ১ টি করে অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দ্র সহ সর্বমোট ২ হাজার ৬৯ টি টিকাদান কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। যে-সকল কেন্দ্রে ৪ হাজার ১৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেছে।

 

তিনি বলেন, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন প্রচারের জন্য স্ব স্ব এলাকায় নিয়মিত মাইকিং করার পাশাপাশি মসজিদ থেকেও মাইকিং করা হবে। ক্যাম্পেইনের আওতায় কোন শিশু যাতে ভিটামিন এ ক্যাপসুলে পাওয়া থেকে বাদ না পরে সেজন্য ১ জুনের পরবর্তী চার দিন ঘরে ঘরে গিয়ে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

 

সিভিল সার্জন বলেন, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে যে শুধু শিশুর অপুষ্টি বা অন্ধত্ব দুর হয় তা নয়। এতে ডায়রিয়া ও শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।

 

এদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের ডা. খন্দকার মঞ্জুরুল ইমাম শুভ্র জানান, নগরের ২২০টি কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ জনগোষ্ঠীর জন্য বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট এবং ফেরিঘাটসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ক্যাপসুল খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পাশাপাশি ৫ শতাধিক কর্মী এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে কাজ করেছে।