বাদল আহাম্মদ খান নিজস্ব প্রতিবেদক, আখাউড়াঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-৪ কসবা-আখাউড়া আসনের সাবেক বিএনপি এমপি মুশফিকুর রহমানের সাবেক এপিএস ও দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসানকে আটক করেছে পুলিশ। বিদেশ যাওয়ার চেষ্টাকালে বিমান বন্দর থেকে আটক করা হয়।
এদিকে অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, আরিফ হাসান (২০০১-২০০৫) সালে সাবেক এমপি মুশফিকুর রহমানের পিএ (টেলিফোন অপারেটর) ছিলেন। তিনি মুশফিকুর রহমানের পুষ্য হিসেবে পরিচিত ছিলেন। টেন্ডার বাণিজ্য, থানার ওসি বদলি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। ওই সময়ে মুশফিকুর রহমান দেশ টিভির লাইসেন্স পান। বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামের উপাধি দেশনেত্রী থেকে দেশ টিভি দেওয়া হয়েছিল। পরে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে আরিফের মাধ্যমে আওয়ামীলীগের নেতা সাবের হোসেন চৌধুরী ও আওয়ামীলীগের নেতা আসাদুজ্জামান নূরের কাছে ২০ কোটি টাকা বিক্রি করে দেন। তখন আরিফ হাসান ৫% শেয়ার পায়।
আরিফ একজন জঘন্য অপরাধের সাথে ১৬ বছর জড়িত। টিভি উপস্থাপকদেরকে নিয়ে মনোরঞ্জন করতো। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমায় এলে আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে আওয়ামীলীগ নেতা বনে যান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে যখন জঅই অফিসে আটক করে নির্যাতন করতেন, তখন তার নির্দেশে দেশ টিভিতে তারেক রহমান এর বিরুদ্ধে আজগুবি বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, আরিফ হাসান ঘধঃরড়হধষ ইধহশ খরসরঃবফ এর ডিরেক্টর রন সিকদার এর সাথে সম্পর্ক করে ৩০০ কোটি টাকা উত্তোলন করে কানাডায় বেগম পাড়ায় বাড়ি এবং সম্পদ করে।
আরিফ হাসান গতবছর কুমিল্লার মুরাদনগরে তার বাবার জেয়াফতে ১০০ গরু জবাই করে ঢাকা থেকে ৫ টি হেলিকপ্টার করে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদেরকে জেয়াফতে নিয়ে আসেন।
আরিফ হাসান বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে পাসপোর্ট করেছে। এস এস সি সার্টিফিকেট অনুযায়ী করেনি।
তিনি ৫ আগষ্ট গণহত্যার সাথে জড়িত ছিলেন। সে ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাদেরকে অর্থ প্রদান করেছিলেন।