• ৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপর লাঠিচার্জ করায় পলাতক চেয়ারম্যান জনদুর্ভোগ চরমে।

Mofossal Barta
প্রকাশিত নভেম্বর ২০, ২০২৪, ১৮:২১ অপরাহ্ণ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপর লাঠিচার্জ করায় পলাতক চেয়ারম্যান জনদুর্ভোগ চরমে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপর লাঠিচার্জ করায় পলাতক চেয়ারম্যান জনদুর্ভোগ চরমে।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

কাঠালিয়া প্রতিনিধিঃএম এ আজিজ: তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের সেবা নিশ্চিত করে জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখে স্থানীয় সরকার তথা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব হলো স্থানীয় সেবা প্রদান যেমন, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা বিতরণ।

এ ছাড়া, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদানেও তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কাঠালিয়া উপজেলার ১নং চেচরি রামপুর ইউপি চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতি পর এই কার্যক্রমগুলো স্থবির হয়ে পড়েছে।

ফলে তৃণমূলের জনগণ বিভিন্ন সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত ও হয়রানির শিকার হচ্ছে।
৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনার পতন এবং ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে ১নং চেচরি রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হারুন আর রশিদ জমাদ্দার অনুপস্থিত,স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম থেমে গেছে এবং ভাতা বিতরণ থেকে শুরু করে দৈনন্দিন প্রশাসনিক কার্যক্রমগুলোও স্থবির হয়ে পড়েছে।

যারা ওয়ারিশ সনদ, চারিত্রিক সনদ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ করতে ইউনিয়ন পরিষদে আসছেন, তারা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও সেবা পেতে বিলম্ব হচ্ছে।বুধবার (৩০ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে ১নং চেচরি রামপুর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সেবাপ্রার্থীদের জটলা দেখা যায়। জন্মসনদ, ওয়ারিশান সনদ, পরিচয়পত্র, প্রত্যয়নপত্রসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে পরিষদে আসেন তারা।

কিন্তু চেয়ারম্যান না থাকায় হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে এসব সেবা গ্রহিতাদের।১নং চেচরি রামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সাধারণ লোকজন জানান চাকরির জন্য প্রত্যয়ন পত্রের প্রয়োজন। প্রত্যয়ন পত্র না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন তারা। উপজেলার ১নং চেচরি রামপুর ইউনিয়নের একাধিক ভুক্তভোগী জানান, জন্ম নিবন্ধনের ভুল সংশোধন করার জন্য মাস মাস ধরে চেয়ারম্যান না থাকায় হয়রানির শিকার হচ্ছি। এ কাজে গত কয়েকদিন ধরে উপজেলা পরিষদে ঘুরছি।এক নম্বর ওয়ার্ডের লোকজন জানান ‘আমাদের মায়ের মৃত্যু সনদের জন্য গত দুই মাসে উপজেলা প্রায় ১৫ দিন যাতায়াতের করেছি। এতে প্রায় আমার ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন পর্যন্ত মৃত্যু সনদ পায়নি।
অবিবাহিত নারীর নাম দিয়ে মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা উত্তোলন, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, টিআর, ও গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারসহ “কাবিখা” বিভিন্ন প্রকল্পের নামমাত্র কাজ করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ, ভুয়া রেজুলেশন করে ইউপি উন্নয়ন সহায়তা খাতে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন না করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
এ ছাড়া ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির তালিকাভুক্ত শ্রমিকদের কাছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন বলে জানান শ্রমিকরা। টাকা দিতে না পারায় শ্রমিকদের বাদ দেয়া হয় ওই কর্মসূচি থেকে।চেয়ারম্যানের এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রদান করেন শ্রমিক’রা ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এর আগেও ওই চেয়ারম্যানের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্থানীয়রা অভিযোগ, প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কাবিটা প্রকল্পের আওতায় সার্বজনীন মন্দিরের মাটি ভরাট ও সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দেয়া টাকা, কিন্তু নামমাত্র কাজ করে সম্পূর্ণ টাকা আত্নসাৎ করেছে চেয়ারম্যান,
শুধু প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ নয়, চেয়ারম্যান হারুন আর রশিদ বিরুদ্ধে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানেও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ।
এদিকে ২০২২-২৩-২৪ অর্থবছরে ইউপি উন্নয়ন সহায়তা খাতে প্রকল্প দেখিয়ে লাখ লক্ষ টাকার কাজ না করেই সম্পূর্ণ টাকা তুলে নেন চেয়ারম্যান হারুন আর রশিদ।
এলাকার উন্নয়নের জন্য যেসব বরাদ্দ দিচ্ছে চেয়ারম্যান তা নিজের উন্নয়নে লাগাচ্ছেন। ভুয়া রেজুলেশন করে নামমাত্র কাজ করে ইউপি উন্নয়ন সহায়তা খাত থেকে লাখ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। স্থানীয় ইউপি সদস্যরা বিষয়টি নিশ্চিত করে,
উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা মাসিক মিটিং এ সরকার পালা বদলের পরই অনুপস্থিত রয়েছেন চেয়ারম্যান,
এই অভিযোগের বিষয়ে ১নং চেচরি রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান হারুন আর রশিদ জমাদারকে, তার মুঠোফোনে একাধিক ফোন দিলে ফোনটি বন্ধু পাওয়া যায় “তাই সাক্ষাৎকার নেওয়া সম্ভব হয়নি