আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরের শাসনামলে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ দৌরাত্ম্য ছিল অনেক বেশি। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, নারীদের উত্ত্যক্ত করাসহ নানা অপরাধে যুক্ত ছিল তখনকার ক্ষমতাসীন দলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকা এলাকাভিত্তিক এসব অপরাধী চক্র। চলতি বছরের এপ্রিলে সরকারের একটি সংস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কথিত কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছিল, সারা দেশে ২৩৭টির মতো কিশোর গ্যাং রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকা শহরে, ১২৭টি।
পুলিশের পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয় নির্দিষ্ট ছকে। তাতে কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধ বা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আলাদা তথ্য থাকে না।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ উমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের অপরাধ পরিসংখ্যানে প্রকৃত ঘটনার আংশিক প্রতিফলন হয়। বাস্তবিক অর্থে অপরাধের ব্যাপ্তি অনেক বেশি। তাঁর মতে, অপরাধ নিয়ন্ত্রণের চেয়ে প্রতিরোধের ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। পরিবার ও সমাজকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশকে অপরাধ মোকাবিলা করতে হবে।