• ৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীর বাঘায় গাছে গাছে সুরোভিত মুকুল : পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

Mofossal Barta
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫, ১৫:৪৯ অপরাহ্ণ
রাজশাহীর বাঘায় গাছে গাছে সুরোভিত মুকুল : পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

রাজশাহীর বাঘায় গাছে গাছে সুরোভিত মুকুল : পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

সংবাদটি শেয়ার করুন....

রাজশাহী প্রতিনিধি: বৃন্দাবন, লকনা, বোম্বাই খিরসা, মহনভোগ, সেনরি, ব্যানানা, খিরসা পাত, বৃন্দাবনী, ও কালীভোগ-সহ প্রায় দেড়’ থেকে দুইশ জাতের আম রয়েছে। প্রতিবছর আম মৌসুমে এ উপজেলায় প্রায় লাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়। এ ছাড়াও কৃষি মেলায় দেখা যায় দুইশ জাতের আম।

এ অঞ্চলের আম বাগান মালিকরা জানান, প্রতি বছর মাঘের শুরুতে আম গাছের ডালে ডালে মুকুল ফুটতে শুরু করে। এ দিক থেকে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা মুকুলের পরিচর্যা শুরু করেছেন। তাঁদের মতে, এবার পরিপূর্ণ মুকুল ফুটে গুটি বের হতে ফালগুন চলে আসবে। এখানে আঞ্চলিক ভাবে প্রবাদ রয়েছে, ‘আমের আনা মাছের পাই, টিকলে পরে কে কত খাই।’আম চাষীদের মতে, গাছে-গাছে যে পরিমাণ মুকুল আসে, তার সিকিভাগ (২৫%) টিকে গেলেও আমের বাম্পার ফলন হবে। উপজেলার আমোদপুর গ্রামের সফল আম চাষি শামসুল হক জানান, গাছে মুকুল আসার পর থেকে আম পাড়া পর্যন্ত ৫ থেকে ৬ বার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। তাতে হেক্টরে ৩৮ থেকে ৪৫ হাজার টাকার বালাইনাশক লাগে।

 

বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ্ সুলতান বলেন, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আম চাষ করলে এর উৎপাদন যেমন বাড়বে, তেমনি সঠিক ভাবে সংরণ এবং পরিবহন, রপ্তানি-সহ বাজারজাত করলে কৃষকরা ব্যপক হারে লাভবান হবেন। তিনি উন্নত পদ্ধতিতে আম চাষ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কৃষকদের নানা পরামর্শ দেয়ার ফলে গত ৭-৮ বছর থেকে বাঘার আম বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।