রিকশা গার্ল’ সিনেমাটি মুক্তি প্রসঙ্গে এভাবেই বললেন নভেরা রহমান। এর আগে নভেরা রুবাইয়াত আহমেদের ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ও মান্না হীরার ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ‘রিকশা গার্ল’ তার তিন নম্বর সিনেমা।
দেশের বাইরে বিভিন্ন উৎসবে সিনেমাটির প্রদর্শনী হয়েছে। নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, লন্ডন, জার্মানি ও দুবাইর শোতে উপস্থিত ছিলেন নভেরা। বিশেষ করে শিশুদের কাছ থেকে বেশি সাড়া পেয়েছেন তিনি।
নভেরা রহমানের বয়স যখন চার মাস, তখন তার মা মোমেনা চৌধুরী অভিনীত ‘দূরে কোথাও’ নামে একটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন। নির্ধারিত শিল্পীর অনুপস্থিতিতে তাকে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হয়। মায়ের কোলেই ছিল প্রথম কাজ।
মা মোমেনা চৌধুরী নাট্যদল আরণ্যকে থাকায় মঞ্চের ভুবনেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। সেই জায়গা থেকে থিয়েটার রক্তের মধ্যেই আছে। স্কুল-কলেজ শেষ করে এক সময় স্নাতকে পড়তে কানাডায় চলে যান তিনি। ওই সময় খুব শখ করে একটা থিয়েটার কোর্স নিয়েছিলেন। কোর্সটা ভালো লাগায় মঞ্চের প্রতি তার আলাদা দরদ তৈরি হলো।
রিকশা গার্ল’ সিনেমায় অভিনয়ের পর ক্যামেরার পেছনের কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন নভেরা। অমিতাভ রেজার প্রতিষ্ঠান ‘হাফ অ্যান্ড ডাউন’ এ লাইন প্রডিউসার হিসেবে কাজ শুরু করেন। সেখান থেকেই তার প্রযোজনার যাত্রা শুরু হয়। এরপর লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রডিউসিংয়ের ওপর মাস্টার্স শেষ করেন। পরে লস অ্যাঞ্জেলেসে পড়েছেন ক্রিয়েটিভ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে। এখন তিনি প্রডিউসার হিসেবে বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত আছেন। বিদায়ী বছরটি ভালোই গেছে নভেরার। পেয়েছেন ইউকের ভিসা। পড়ালেখার পাঠ চুকিয়েছেন। ঢাকায় এসে ভালো ভালো কিছু কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। নতুন বছরে জীবনে আরও ভালো কিছু কাজ যুক্ত হবে বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি।