খেলা ডেস্ক: চারপাশে শুধু আগুন আর আগুনের লেলিহান শিখা। দাবানলে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস শহর। ওয়াইল্ডফায়ার অ্যালায়ান্সে জানিয়েছে, শহরটির ইতিহাসে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক এই দাবানলে প্রায় এক হাজার অবকাঠামো পুড়ে গেছে। বিনোদন নগরী হিসেবে পরিচিত লস অ্যাঞ্জেলেসের এই আগুনে হলিউড তারকাদের পাশাপাশি পুড়েছে ফুটবলারদের বাড়িঘরও। প্রতিভার জন্য একসময় ‘বয় ওন্ডার’ ও ‘হায়েনা’ নামে পরিচিতি পাওয়া মেক্সিকো ফরোয়ার্ড কার্লোস ভেলার বাড়িও তার একটি।
পুড়ে গেছে ‘প্যালিসাদেস ফায়ার’ নামে পরিচিতি পাওয়া এই দাবানলে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গতকাল বাড়িঘর পুড়ে যাওয়ার এই খবর জানিয়েছেন ভেলার স্ত্রী সাইয়োয়া ক্যানিবানো, ‘মালিবুতে আমাদের সুন্দর বাড়িটি গতকাল পুড়ে গেছে…যা কিছু ঘটছে আমরা তার ধাক্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি। সবকিছু পুড়ে যেতে দেখাটা খুব দুঃখজনক এবং ভীতিকর।’ সাইয়োয়া আরও জানিয়েছেন, বাড়িঘর পুড়লেও ভেলাসহ পরিবারের বাকিরা নিরাপদে আছেন।
মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) দল লস অ্যাঞ্জেলেস এফসিতে খেলেন ভেলা। আর্সেনালের বয়সভিত্তিক ও মূল দলে সম্ভাবনাময়ী হিসেবে আবির্ভাব ঘটলেও পরে সেভাবে প্রতিদান দিতে পারেননি। লা লিগার ক্লাব রিয়াল সোসিয়েদাদেও খেলেছেন দীর্ঘ ৮ বছর। তবে এমএলএসে সাফল্য পেয়েছেন ভালোই। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির হয়ে এমএলএস কাপ জিতেছেন, তার আগে ২০১৯ সালে এমএলএস এমভিপি ও গোল্ডেন বুট পুরস্কারও।
মেক্সিকোর হয়ে ২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব–১৭ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই মূলত ভেলার নাম ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই প্রতিযোগিতায় গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন মেক্সিকো জাতীয় দলের হয়ে কনক্যাকাফ গোল্ড কাপজয়ী ভেলা।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল উইমেন্স লিগের (এনডব্লিউএসএল) দল অ্যাঞ্জেল সিটির ডিফেন্ডার আলি রাইলির বাড়িঘরও পুড়ে গেছে। চেলসি ও বায়ার্ন মিউনিখে খেলা নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের এই অধিনায়ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন এই খবর। এলাকা পুড়ে যাওয়ার একটি ছবি পোস্ট করে সেখানে তিরচিহ্ন দিয়ে নিজের ঘরের অবস্থান দেখিয়ে ক্যাপশনে রাইলি লিখেছেন, ‘এখানে আমাদের ঘর ছিল। এটা কীভাবে সম্ভব। এটা ঘটতে পারে না।
ফুটবলের বাইরে ক্রীড়াঙ্গনের অন্য খেলার মানুষেরাও এই আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এনবিএ দল লস অ্যাঞ্জেলেস লেকার্সের কোচ জেজে রেডিকের বাড়িঘর পুড়ে গেছে। তিনি ও তাঁর পরিবার অবশ্য নিরাপদে অবস্থান করছেন। লস অ্যাঞ্জেলেসে বিভিন্ন খেলার বেশ কিছু ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সিএনএনের লাইভ বিবরণী শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানিয়েছে, ভয়াবহ এই আগুনে হাজারখানেক স্থাপনা পুড়ে গেছে এবং বাড়িঘর ছেড়েছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। মৃতের সংখ্যা এখনো পরিষ্কার নয়।