বিশেষ প্রতিবেদকঃ
গত ৩০জুন রবিবার মফঃস্বল বার্তা পত্রিকায় প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কেদ্রে কেনাকাটায় ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়ম। সাংবাদটিতে বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা দুর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করি।সেই সাথে দৃষ্টি আকর্ষন করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে।
রাজশাহী বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কেনাকাটায় এই দু্র্নীতি নতুন নয়। বহু পূর্বে থেকে তারা এই অনিয়ম চালিয়ে আসছে। কিন্তু এক অদৃশ্য শক্তিতে তারা সবসময় ধরা ছোয়ার বাহিরে থাকে। সে কারণে দিন দিন তাদের দুর্নীতির পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা তিন হাজার টাকা দামের ফ্যান কিনেছে ১০ হাজার টাকায়। ধরার কেউ নেই। এক টাকা দামের প্রতিটি খাম কেনা হয়েছে ৯ টাকায় , আর তিন টাকার খাম ১৩ টাকায়। ৩ হাজার টাকার ইউপিএস এর দাম ধরা হয়েছে ৬ হাজার টাকা। আর ৩ হাজার টাকা দামের ওয়াল ফ্যান ৯ হাজার ৯শত টাকা করে ধরা হয়েছে। এত কিছুর পরও দুর্নীতি দমন কিছুই জানে না।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃপক্ষের(বিএমডিএ) বিভিন্ন প্রকল্পের কোটেশনের মাধ্যমে কেনাকাটায় এমন অস্বাভাবিক দাম দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে সরবারাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজসে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) অস্বাভাবিক মূল্য পরিষোধ করে নিজেদের কমিশন বাগিয়ে নেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে মালপত্র বুঝে না নিয়ে, বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করারও অভিযোগ রয়েছে।২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিএমডিএর বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলীরা ৫৮ লাখ ৫১ হাজার ৩৮৬ টাকার কেনাকাটা করেছেন শুধু কোটেশন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে।
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, বিএমডিএর ই আই সি ডি প্রকল্পের পরিচালক শহিদুর রহমান গত বছরের ১৯ জুন একটি কোটেশন বিজ্ঞপ্তি দেন।কমডেক্স ইনফরমেশন টেকনোলজি নামের আড়াই হাজার টাকায় পেনড্রাইভ, ৩ হাজার ৩শ টাকায় র্যাম ও সিপিউ ক্যাসিংসহ অন্যান্য অন্যান্য মালপত্র সরবরাহ করে। মডেল অনুযায়ী অনলাইন বাজার যাচাই করে দেখা গেছে পাওয়ার গার্ডের ওই ওই ইউপিএস এর দাম বাস্তবে ৩ হাজার ৩৯০ টাকা। ক্যাসিংয়ের দাম ২ হাজার ৩০০ টাকা এবং ১২৮ জিবি পেনড্রাইভের দাম মাত্র ১ হাজার টাকা। কোটেশনের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন পিডি শহিদুর রহমান । ৩ হাজার ৩৯০ টাকায় সেই একই ইউপিএস আরেক কোটেশনের মাধ্যমে ৪ হাজার ৯০০ টাকায় কিনেছেন এইচডিসিপি প্রকল্পের পিডি এটিএম রফিকুল ইসলাম।
চলবে…………