• ৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অলিম্পিকে খেলতে আঙুল কেটে ফেললেন অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়

Mofossal Barta
প্রকাশিত জুলাই ২৭, ২০২৪, ১৭:০২ অপরাহ্ণ
অলিম্পিকে খেলতে আঙুল কেটে ফেললেন অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়
সংবাদটি শেয়ার করুন....
অনলাইন ডেস্কঃ

প্যারিস অলিম্পিকে খেলার জন্য নিজের অঙ্গচ্ছেদ করতেও বিন্দুমাত্র ভাবলেন না অস্ট্রেলিয়ার হকি খেলোয়াড় ম্যাট ডসন। খবরটা একটু আশ্চর্যের হলেও এটিই সত্য। ‘গ্রেটেস্টে শো অন আর্থে’ খেলার জন্য এতটাই ব্যাকুল ছিলেন যে নিজের আঙুল কেটে ফেলতেও দ্বিধা বোধ করেননি তিনি।

অথচ, এবারই ক্যারিয়ারে প্রথমবার অলিম্পিক খেলবেন বিষয়টা এমন ছিল না।

এর আগেও অস্ট্রেলিয়ার হকি দলের দুইবার অলিম্পিকে অংশ নিয়েছেন ডসন। তবে ক্যারিয়ারের শেষ অলিম্পিক মনে করে প্যারিসে থাকতে যেকোনো কিছু করতেই রাজি ছিলেন তিনি। যার বলিদান হিসেবে ডান হাতের মধ্যমার অর্ধেক অংশ কেটে ফেলেছেন তিনি। 

প্যারিসে আসার দুই সপ্তাহ আগে সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনের সময় আঙুলে চোট পান ডসন।

অস্ট্রেলিয়া দলের এক খেলোয়াড়ের হকি স্টিক এসে তার ডান হাতের আঙুলে আঘাত করে। আঘাতের মাত্রা এতটাই জোরালো ছিল যে তার মধ্যমার উপরের অংশ হকি স্টিকের আঘাতে ভেঙে গিয়ে কিছুটা ঝুলেছিল। চোট পাওয়ার পর  প্লাস্টিক সার্জনের কাছে গেলে ৩০ বছর বয়সী খেলোয়াড়কে অস্ত্রোপচাররে পরামর্শ দেন চিকিৎসক। অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নিলে তাকে প্যারিস অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন বাদ দিতে হবে।
তাতেও পুরোপুরি সুস্থ হবেন কিনা তার নিশ্চয়তা ছিল না। 

অলিম্পিকে অংশ নিতে চাইলে আরেকটি উপায়ের কথা জানান চিকিৎসক। তবে সেটা সহজ কোনো পন্থা ছিল না। আর সেটা হচ্ছে নিজের আঙুলের চোটাক্রান্ত অংশটুকু কেটে ফেলা। এটা করলে ১০ দিনের মধ্যেই খেলায় ফিরতে পারবেন তিনি।

স্ত্রী তাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত না নেওয়ার পরামর্শ দিলেও তা মানেননি ডসন। সেদিন বিকেলেও চিকিৎসককে নিজের আঙুল কাটার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। 

এখন সেই ভাঙা আঙুল নিয়েই অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে প্যারিসে ডসন। আজ আর্জেন্টিনার বিপক্ষে দলের হয়ে মাঠে নামার জন্য মুখিয়েও আছেন তিনি। আঙুল ফেলে দেওয়ার বিষয়ে ডসন বলেন,‘নিশ্চিতভাবেই আমার ক্যারিয়ার এখন শেষ দিকে। কে জানে, হতে পারে এটিই আমার শেষ অলিম্পিক। আমার এখনো মনে হয় নিজের সেরাটা দেওয়ার আছে, আমি সেই চেষ্টাই করব। এ জন্য যদি আঙুলের অগ্রভাগকে মূল্য চোকাতে হয়, সেটাই হোক।’

ডসনের এমন সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন তার সতীর্থ ও কোচ। অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক অ্যারান জালেফস্কি বলেছেন, ‘আমরা ভাবতে পারছিলাম না কী হবে। পরে আমরা শুনলাম সে হাসপাতালে গিয়ে আঙুল ফেলে দিয়েছে। ব্যাপারটা চমকপ্রদ। কারণ আমি জানি এখানে (অলিম্পিক) আসতে অ্যাথলেটরা হাত, পাকে বলি দান করেন।’ আর কোচ কলিন বাচ বলেছেন, ‘সে প্যারিসে খেলতে উন্মুখ ছিল। জানি না, ওর জায়গায় থাকলে আমি এমনটা করতাম কি না। কিন্তু সে করেছে। দুর্দান্ত।’