বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় অজ পাড়া গায়ের সুন্দরী মেয়ে অধরা ফেসবুক ও ইউটিউব মিডিয়ায় কাজ করে যাচ্ছে। এসব চ্যানেলে কাজ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন,চ্যানেল কর্তৃপক্ষ প্রতিটি রিলের জন্য মেয়ে শিল্পীদের পারিশ্রমিক দেন সর্বোচ্চ ১(এক) হাজার টাকা। প্রতি দিন ১/২ টি রিলের শুটিং সম্পন্ন হয়।এভাবে ১ সপ্তাহ শুটিং করতে হয়।সাত দিন শুটিং করার পর আমার ইনকাম আসে প্রায় ২৮ হাজার টাকা।
আপনি আগে বলেছেন,দিন ২ হাজার টাকা ইনকাম হয়।সে হিসাবে ৭ দিনে ১৪ হাজার টাকা আসার কথা। আবার বলছেন ২৮ হাজার টাকা আসে,বাকী ১৪ হাজার টাকা কে বা কোথায় থেকে আসে জানতে চাইলে
অধরা মুসকি হাসি দিয়ে বলেন, তা বুঝবেন না।
সারাদিন রিলের শুটিং শেষ করে রাতে কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত রুমে তাদের থাকার সুযোগ করে দেন। সেখানে নারী পুরুষ উভয় লিঙ্গের শিল্পী থাকে।রাত যখন ঘনিয়ে আসে তখন আমার রুমে পুরুষ মানুষের আগমন ঘটে।তখন তো বুঝতেই পারছেন? রাত শেষে যখন সে বিদায় নিবে তখন ২ ( দুই) হাজার টাকা হাতে দিয়ে চলে যান।
এভাবেই চলে শুটিংয়ের আড়ালে দেহ ব্যবসা।
উপরোক্ত কথা গুলো বলেন,গাজিপুর জেলার শফিপুর উপজেলার আনসার ব্যাটালিন সংলগ্ন বসবাসকারী অভিনয় শিল্পী এস এ অধরা। এখানে উল্লেখ থাকে যে, অধরা দু সন্তানের জননী। স্বামীর সাথে বনিবনা না থাকায় বাবের বাড়িতে থেকে এসব কাজ করে যাচ্ছেন।
অভিনয় শিল্পী অধরাকে প্রশ্ন করা হলে,তিনি আরও বলেন, কোন কাজ কাম না পেয়ে বাধ্য হয়েই এ পেশায় আত্মনিয়োগ করতে হয়েছে।
অধরা এও বলেন,এ পেশায় রূপ যৌবন যতদিন থাকবে ততদিন চাহিদা থাকবে,তাই চিন্তা ভাবনা করছি এ পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য কোন লাভ জনক কাজে আত্মনিয়োগ করার।
অধরার বিষয়ে তার দূর সম্পর্কের ছোট বোন সানজিদার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, শুটিং না থাকার সময়ে সে,বিভিন্ন লোকের সাথে ভিডিও কলে কথা বলে। আর ভিডিও কলে সে তার বুকের দুধ দেখিয়ে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করেন।
বিভিন্ন জায়গায় বেড়ানোর নাম করে বাসা থেকে আত্নীয়ের বাসায় গিয়ে পছন্দের লোককে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে রাত্রি যাপন করে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করেন। সানজিদা বলেন,কিছু দিন আগেও একটি ছেলেকে নিয়ে আমার বাসায় বেড়াতে আসে।ছেলেটি সারা রাত তাকে নিয়ে আলাদা রুমে ছিল। দুদিন পর আমার ভগ্নিপতিকে ফোন করে আনে, তাকে নিয়েও রাত্রি যাপন করে।
তাছাড়া ফেসবুক বন্ধু বান্ধব রযেছে অনেক।তাদের সাথেও ভিডিও কলে বুক দেখিয়ে টাকা ইনকাম করে যাচ্ছে।