ক্রাইম রিপোর্ট ঢাকা ঃ-রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) জোনাল অফিস মহাখালী জন ৩/২ অথরাইজড অফিসার হিসেবে প্রকৌশলী শেগুপ্তা শারমিন আশরাফ যোগদান করেই সাংবাদিকদের সাথে অসদআচরণ শুরু করেন এমনকি তার কক্ষে পর্যন্ত কোন সংবাদকর্মী যেতে অনুমতি দিচ্ছে না। সংবাদ কর্মীগণ পরিচালককে লিখিতভাবে অবহিত করার পরেও শেগুপ্তা শারমিন সংবাদকর্মীদের তার কক্ষে ঢুকতে অনুমতি দেয়নি।
এ প্রতিবেদককে দৈনিক বাংলা ৭১ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এবং মিরপুর প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জানায় যে তিনি নিজেও পরিচালকের নিকট লিখিত ভাবে অবহিত করেও দেখা করতে পারেনি এই প্রভাবশালী দুর্নীতিগ্রস্ত অথরাইজড অফিসার শেগুপ্তা শারমিনের সাথে। এ প্রতিবেদককে জানায় আল আমিন নামের গাজীপুর নিবাসী বিগত ১৪ আগস্ট ২০২৪ ইংরেজি তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি অভিযোগ দায়ের করে এই কর্মকর্তার ঘুষ দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে ঐ অভিযোগের একটি কপি দৈনিক গণতদন্ত পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হাসমত নিয়াকে সংবাদ পরিবেশন এর জন্য দিলে তিনি অভিযোগের সত্যতা অনুসন্ধানের স্বার্থে এই কর্মকর্তার সাথে দেখা করতে চাইলে তাকে দস্তুর মত অপমান করে বের করে দেয় এই কর্মকর্তা তার কক্ষ থেকে।
এ প্রতিবেদককে সাংবাদিক হাসমত মিয়া জানায় শেগুপ্তার কক্ষ থেকে বের হয়ে এসে হাসমত মিয়া বিগত ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে অথরাইজড অফিসার শেগুপ্তা শারমিন আশরাফ এর বিরুদ্ধে সংবাদ কর্মীদের হেনস্তা করার অপরাধে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব,এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করে সাংবাদি হাসমত মিয়া। এ প্রতিবোদক কে আরো জানায় এই কর্মকর্তা জোনাল অফিস উত্তরা জোন ১/১ এ থাকাকালীন অবস্থায় তখনকার গাজীপুর এলাকার দায়িত্বে থাকায় কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সাধারণ মানুষের নিকট থেকে একই সময়ে পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করায় সাভার আশুলিয়াথেকে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাতো আয় বহিরভূত সম্পদ অর্জন করে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। বর্তমানে এই কর্মকর্তা রাজউক মহাখালী জোন ৩/২ কর্মরত রয়েছে ।
এই কর্মকর্তা সংবাদকর্মীদের ১৯৮৭ সালের আইনের কথা বলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে আসতে বলে কিন্তু সে কি জানে না মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ এক রায় উল্লেখ করেছে ২০২৩ ইংরেজি সালে সংবাদকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য সরকারি বেসরকারি যেকোনো অফিসে যেতে পারবে এখানে কেউ বাধা দিতে পারবে না অথচ এই কর্মকর্তা সংবাদ কর্মীদের তার অফিসে ঢোকাই নিষেধ করে দিয়েছে যেটা সম্পূর্ণ আইনবহির্ভূত বিষয়। দৈনিক বাংলা ৭১ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এবং মিরপুর পরের ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য ভূমি উন্নয়ন এর সাথে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি তাকে অবহিত করে অথচ আজ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা আদাউ কিছু জানা যায়নি। মূলত এই কর্মকর্তা তার দুর্নীতির বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্যই সংবাদ কর্মীদের তার অফিসে ঢুকতে নিষেধ করে দিয়েছে। বর্তমান কর্মস্থলে তার কিছু বিশ্বস্ত ইমারত পরিদর্শকদের দিয়ে যে সকল বাড়ি পাঁচতলা ছয়তলা হয়ে গেছে ওই সকল বাড়ির মালিকদেরও তার অথোরাইড স্যারের সাথে দেখা করার জন্য তাগাদা দিয়ে যাচ্ছে।
যারা দেখা না করে তাদের উপরে নেমে আসে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি। একজন সাধারণ গ্রহীতা ও তার সাথে দেখা করতে হলে ঘন্টার পর ঘন্টা তার অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বিভিন্ন সূত্রে এ তথ্য জানা যায় সেবাগ্রহী তাদের সাথে এ প্রতিবেদক আলাপ কাল জানতে পারে এই কর্মকর্তা সকলের সাথে খারাপ আচরণ করে। আওয়ামী সরকারের সমায়ে প্রভাব বিস্তার করেছে তিনি আওয়ামী পরিবারের শন্তান বলে। এখন ও পূর্বের ন্যায় প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করতেছে এই কর্মকর্তা। এ প্রতিবেদক আর ও জানতে পারে জোন ১/১ উত্তরায় বসেও সাংবাদিকদের খারারাপ দৃষ্টি তে দেখতো বলে একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী জানায। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই কর্মকর্তাকে মহাখালী জোনাল অফিস থেকে সরিয়ে না নিলে সাংবাদিক সহ সাধারণ মানুষ এই কর্মকর্তার কাছে হয়রানি হতে থাকবে যা মোটি কাম্য নয়।