পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্প একটা চুক্তি করে ফেলতেই পারেন, কিন্তু পুতিন সেই চুক্তিতে কতটা অটল থাকবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে। পুতিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন—দুই পক্ষের সঙ্গেই খেলতে শুরু করতে পারেন। কারণ, পুতিন আশা করেন, উদীয়মান তৃতীয় বিশ্বব্যবস্থায় তিনি রাশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর রাশিয়াকে তিনি তৃতীয় বড় শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবেন।
রাশিয়ার অর্থনীতির আকার বিবেচনায় এটা পুরোপুরি কল্পনা। কিন্তু পুতিন দীর্ঘদিন ধরে পরাশক্তির মর্যাদায় রাশিয়াকে প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন দেখছেন, সেটা থেমে থাকছে না।
বেইজিংকে ঠেকাতে মস্কোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দরজা খুলে গেলেও ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা সেই একই পথ গ্রহণ করবে, সেটা ভাবা বোকামি হবে। কেননা, জার্মানি, ফ্রান্সসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশির ভাগ দেশ চীনের সঙ্গে যেতেই স্বচ্ছন্দ্য বোধ করবে। এর কারণ হলো, অর্থনীতি। এ দেশগুলো বর্তমানে রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের ওপর তাদের নির্ভরতা থেকে সরে আসতে পেরেছে। কিন্তু চীনের বাজারের ওপর তাদের বড় ধরনের নির্ভরতা থেকে সরে আসতে পারেনি।