মোহাম্মদ সেলিম রাজশাহী থেকে :-
রাজশাহীতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ৪ নারীসহ ৮ জন ভুয়া সাংবাদিককে আটক করেছে শাহমখদুম থানা পুলিশ। বুধবার ( ৫ জুন) নগরীর বনলতা আবাসিক থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাকৃতরা হলো- কথিত সাংবাদিক মো: সালাউদ্দিন (৪০), মো: কাউসার (২৫), মো: রহমত আলী (২১), মো: কাউসার (২৩), মো: রাতুল (২০), মো: আশিক হাসান (২৩), মো: মানিক (৩৯), মো: শাকিল আহম্মেদ (২৪), মোসা: পপি আক্তার (৩৪), মোসা: সম্পা আক্তার (২০), মোসা: সুমি খাতুন (২৬) ও মোসা: পিয়াংকা খাতুন (২১)।
থানা সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার মো: এমরান হোসেন পূর্ব পরিচিত রানা আহম্মেদ। গত ৫ জুন ২০২৪ সকাল ১০ টায় ইমরানকে তার শাহমখদুম থানার পবা নতুনপাড়া বনলতা আবাসিকের বাসায় দাওয়াত দেয়। ইমরান তার তিন বন্ধুকে সাথে নিয়ে দাওয়াতে যান। সেখানে ইমরান রানা ও তার স্ত্রী ছাড়াও আরও তিন মেয়েকে দেখতে পান। এসময় রানা পপি আক্তারকে তার স্ত্রী এবং অন্য তিন জনকে তার শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়া বলে পরিচয় করে দেয়। বিকাল সোয়া ৪ টার দিকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ১০-১২ জন সেখানে আসে। তারা জোর করে ইমরান ও তার বন্ধুদের একটি কক্ষে আটকে রাখে। সেখানে তাদের সাথে আসামি সম্পা, সুমি ও পিয়াংকাকে বসিয়ে অসামাজিক কাজের অভিযোগ তুলে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ছবি তুলে তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়। ইমরান ও তার বন্ধুরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা তাদের মারপিট করে আহত করে এবং তাদের কাছে থাকা ৩১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও আসামিরা ইমরান ও তার বন্ধুদের কাছে থাকা মোবাইল ফোনগুলো ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আসামি রানা পরিকল্পিতভাবে নারী দিয়ে ফাঁসানোর এ কাজটি করেছে বুঝতে পেরে ইমরান ও তার বন্ধুরা চিৎকার শুরু করে। এসময় পাশেই টহলরত শাহমখদুম থানা পুলিশ চিৎকার শুনে স্থানীয়দের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করে।
এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি রানাসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন পালিয়ে যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে আরএমপি’র শাহমখদুম থানায় মামলা রুজু করে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
