• ২৮শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাতের আঁধারে চলে ভেকুর দাপট প্রশাসনের অভিযানেও থামেনি আখাউড়ার কৃষি জমির মাটি যাচ্ছে মুরাদনগরে!

Mofossal Barta
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৯, ২০২৫, ২২:২৬ অপরাহ্ণ
রাতের আঁধারে চলে ভেকুর দাপট প্রশাসনের অভিযানেও থামেনি আখাউড়ার কৃষি জমির মাটি যাচ্ছে মুরাদনগরে!

রাতের আঁধারে চলে ভেকুর দাপট প্রশাসনের অভিযানেও থামেনি আখাউড়ার কৃষি জমির মাটি যাচ্ছে মুরাদনগরে

সংবাদটি শেয়ার করুন....

বাদল আহাম্মদ খান নিজস্ব প্রতিবেদক, আখাউড়াব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার ধুম পড়েছে। আর এসব মাটি যাচ্ছে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানিগঞ্জ এলাকার ইটভাটায়। মাসখানেক ধরে চলছে অবৈধ এ কর্মযজ্ঞ।
সরজমিনে ঘুরে জানা গেছে, রাতের আঁধারে চলে মাটি কাটার মহোৎসব। সাতটি আটটি ভেকু দিয়ে ধরখার সেতুর পার্শবর্তী এলাকা ও টানমান্দাইল থেকে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। মাটি নেওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে বড় ধরণের ট্রাক (ড্রাম ট্রাক)। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল এ মাটি টাকার সঙ্গে জড়িত। প্রশাসনের অভিযানের মুখেও চলছে মাটি কাটার কাজ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কৃষি জমির উপরিভাগ কেটে নেওয়া হচ্ছে। কোথাও পুকুরের মতো করে গর্ত করে ফেলা হয়েছে।
এদিকে উপজেলার বনগজ ও এর আশেপাশের এলাকাতেও চলছে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটা। এখানেও রাতের বেলায় চলে মাটি কাটার কাজ। হাসপাতাল সড়ক হয়ে সাত-আটটি ট্রাকে করে এসব মাটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে কৃষি জমি ভরাট করা হচ্ছে বাড়ি করার জন্য।
অপরদিকে ভুমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা লঙ্ঘন করে ফসলি জমি কাটার অভিযোগে পাঁচটি ড্রাম ট্রাক ও এর মাটি জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ধরখার এলাকা থেকে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাজালা পারভীন রুহি এসব ট্রাক জব্দ করেন। বৃহস্পতিবার অর্থদন্ড করা হয়েছে এর সঙ্গে জড়িত তিনজনকে।
ইউএনও গাজালা পারভীন রুহি জানান, ১৪ জানুয়ারি ৮টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত ধরখার সড়কের দুইপাশে ও টানমান্দাইল এলাকায় উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় ভুমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা লঙ্ঘন করে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার সময় পাঁচটি ড্রাম ট্রাক জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ট্রাকগুলো উপজেলা পরিষদ মাঠে রাখা হয়। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কৃষি জমির মাটি কাটার অপরাধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী তিনটি পৃথক মামলায় মোট সাত লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। উপজেলার ছতুরা শরীফ এলাকার মুজিবুর রহমানকে তিন লাখ, শেখ জুনায়েদকে দুই লাখ ও ওসমান গণি ভুইয়াকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মুজিবুর ও জুনায়েদসহ কয়েকজন মূলত সিন্ডিকেট করে মাটি কাটার কাজ করছে। এক্ষেত্রে অনেককে ম্যানেজ করে তারা এ ধরণের অপকর্ম করে যাচ্ছেন। প্রশাসনের অভিযানের পরও থেমে থেমে মাটি কাটার কাজ চলছে।