• ২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাদুল্যাপুরের কুঞ্জুমহিপুর দঃ সরঃ প্রাঃ বিদ্যাঃ পাশে অবৈধ ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

Mofossal Barta
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৫, ২০২৫, ১৩:৫১ অপরাহ্ণ
সাদুল্যাপুরের কুঞ্জুমহিপুর দঃ সরঃ প্রাঃ বিদ্যাঃ পাশে অবৈধ ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

সাদুল্যাপুরের কুঞ্জুমহিপুর দঃ সরঃ প্রাঃ বিদ্যাঃ পাশে অবৈধ ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আঃ রাজ্জাক সরকার গাইবান্ধা জেলা: গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলাধীন কুঞ্জুমহিপুর দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার ইদুলপুর ইউনিয়নের কুঞ্জুমহিপুর দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একদম কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে একটি অনুমোদনহীন ইটভাটা। জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী শাহিনের মালিকানাধীন এই ইটভাটা দীর্ঘদিন ধরেই আইন অমান্য করে পরিচালিত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ইটভাটার ধোঁয়া ও ধুলোর কারণে শিক্ষার্থীরা মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। প্রতিদিন ইটভাটার ধোঁয়ার কারণে শিশুদের শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা, এবং চোখ জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির হার উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে গেছে। স্কুলে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক বলেন, “আমাদের সন্তানদের সুস্থ্য পরিবেশে পড়াশোনা করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু এই ইটভাটার কারণে তারা প্রতিদিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমরা বহুবার অভিযোগ জানালেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, ইটভাটাটি সম্পূর্ণভাবে অনুমোদনহীন হলেও প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় সচেতন জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ইটভাটা স্থাপন বাধ্যতামূলক হলেও আইন অমান্য করে এই ভাটা পরিচালিত হওয়ায় জনগণের ক্ষোভ বাড়ছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সুস্থ্য ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ আরও বিপদের মুখে পড়বে বলে এলাকার সচেতন মহল মতামত ব্যক্ত করেছেন।