{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}
ব্যুরো প্রধান খুলনা
মোঃ বাবুল সানা
পাইকগাছায় মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার চারু ও কারুকলা পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের কৃত্রিম প্লাষ্টিকের সামগ্রী কিনতে বলায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন অবিভাবকরা। জানা যায়, উপজেলার পৌরসদরের মডেল সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের ১ম থেকে ৫ম শ্রেনি পর্যন্ত ৪৭৬জন ছাত্র-ছাত্রী লেখা পড়া করে। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা চলমান। মঙ্গলবার ছিল চারু ও কারুকলা পরীক্ষা। ওই পরীক্ষায় ২৫ নম্বরের জন্য রয়েছে কাগজ দিয়ে যেকোন মডেল ও কাদামাটি দিয়ে ফলের মডেল তৈরি করার নির্দেশনা। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মিলি জিয়াসমিন ছাত্র-ছাত্রীদের নম্বর কাটার ভয় দেখিয়ে কৃত্রিম প্লাসটিকের সামগ্রী কেনার জন্য বলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন অবিভাবকরা।
মঙ্গবার দুপুর ১টায় বিদ্যালয়ে যেয়ে দেখা গেছে প্রতি ছাত্র-ছাত্রীর হাতে কৃত্রিম প্লাষ্টিকের সামগ্রী। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অবিভাবকরা জানান,ছেলে-মেয়েদের চাপের মুখে বাজার থেকে প্লাষ্টিকের সামগ্রী যেমন ফুল, ফুলদানি, ঘড়ি, স্ট্যাপলার সহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল কিনে দিয়েছি। আমাদের ছেলে মেয়েদের কাছে প্রধান শিক্ষক ঐ সব সামগ্রী কিনে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছে। এ বিষয়ে প্রাধান শিক্ষক মিলি জিয়াসমিন জানান,কাগজ দিয়ে যেকোন মডেল ও কাদামাটি দিয়ে ফলের মডেল তৈরি করার জন্য বলেছি।
বাজার থেকে প্লাষ্টিকের সামগ্রী কিনে আনতে বলিনি। তবে প্লাষ্টিকের তৈরি মডেল কেন তিনি গ্রহন করলেন সে বিষয়ে তিনি সদ উত্তর দিতে পারেননি। পাইকগাছা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা বলেন,চারু ও কারুকলা পরীক্ষায় কোন ভাবে কৃত্রিম প্লাষ্টিকের তৈরি কোন মডেল নেয়া যাবে না। কাগজ দিয়ে মডেল তৈরি ও কাদামাটি দিয়ে নিজ হাতে ফলের মডেল তৈরি করার নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। যদি কোন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষকরা নম্বরের ভয় দেখিয়ে কৃত্রিম প্লাষ্টিকের সামগ্রী গ্রহন করে তবে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্হা নেয়া হবে।
