আশাদুল ইসলাম (মফস্বল বার্তা নিজস্ব প্রতিবেদক: মুন্সীগঞ্জ জেলার বিএনপির একজন নিবেদিতপ্রাণ ও ত্যাগী নেতা মোঃ আবুল কালাম (কানন) কে মুন্সীগঞ্জ জেলা কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির জোর দাবি উঠেছে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকা এ নেতা নানা প্রতিকূলতা ও নির্যাতনের মধ্যেও বিএনপির পতাকা বুকে ধারণ করে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন।

মোঃ আবুল কালাম, পিতা হাজী মোঃ হাফিজ উল্লাহ ও মাতা হাজী মেহেরুন্নেছা এর সন্তান, জন্মগ্রহণ করেন ১ জানুয়ারি ১৯৫৫ সালে। তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার পূর্ব বেজগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। ১৯৮৮ সাল থেকে শুরু করে বিএনপির রাজনীতির বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৮৮-১৯৮৯ সালে পাটাভোগ ইউনিয়ন শ্রীনগর থানা মুন্সীগঞ্জ জেলার

বিএনপির সাংগঠনিক সদস্য হিসেবে। এরপর তিনি একাধিকবার ইউনিয়ন ও উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০১ সালে তিনি শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি জেলা বিএনপির সদস্য, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, জেলা ও উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক জীবনে মোট ৩৮টি রাজনৈতিক মামলা তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় জামিনে মুক্ত থাকা অবস্থায় তিনি বিএনপির হয়ে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের হামলা, পুলিশের হয়রানি এবং কারাবরণসহ নানাবিধ নির্যাতনের শিকার হয়েও তিনি বিএনপির পতাকা বুকে ধারণ করে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন। এমনকি নেতাকর্মীদের একত্রিত করে দলে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেন, “আবুল কালাম কানন ভাই হচ্ছেন শ্রীনগরের বিএনপির একজন প্রমাণিত সৈনিক। তিনি আমাদের জন্য পথ প্রদর্শক। আমরা তাকে মুন্সীগঞ্জ জেলা কমিটিতে দেখতে চাই।”

দীর্ঘ ১৭ বছর দলের প্রতি নিবেদন, অভিজ্ঞতা ও সংগ্রামের আলোকে মোঃ আবুল কালাম (কানন) কে জেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে অন্তর্ভুক্ত করা এখন সময়ের দাবি বলেই মনে করছেন অনেকেই।