• ২৪শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় স্কুলছাত্রী অপহরণ: দুই সপ্তাহেও উদ্ধার হয়নি সংবাদ সম্মেলনে মায়ের আহাজারি ‎

Mofossal Barta
প্রকাশিত অক্টোবর ২৪, ২০২৫, ০৬:৩১ পূর্বাহ্ণ
গাইবান্ধায় স্কুলছাত্রী অপহরণ: দুই সপ্তাহেও উদ্ধার হয়নি সংবাদ সম্মেলনে মায়ের আহাজারি ‎
সংবাদটি শেয়ার করুন....

গাইবান্ধা থেকে মোঃ আবু জাফর মন্ডলঃ

গাইবান্ধায় স্কুলছাত্রী অপহরণ: দুই সপ্তাহেও উদ্ধার হয়নি সংবাদ সম্মেলনে মায়ের কান্না ও আহাজারি। ঘটনার বিবরনে উল্লেখ থাকে যে,গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার টেপাপদুমশহর গ্রামে নাবালিকা স্কুলছাত্রী মোছাঃ সাহরিয়া আক্তার (১৫) অপহরণের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ২টায় গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীর মা মোছাঃ শাহানাজ বেগম।
‎সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তাঁর মেয়ে সাহরিয়া আক্তার টেপাপদুমশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের শ্রী পল্লব কুমার (১৯), পিতা সন্তোষ কুমার তার মেয়েকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে উত্যক্ত করে আসছিল এবং অশ্লীল কথাবার্তা বলে প্রেমের প্রস্তাব দিত। মেয়েটি প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে পল্লব কুমারসহ ৪-৫ জন দুর্বৃত্ত গত ১১ অক্টোবর বিকেল ৩টার দিকে ওৎ পেতে থেকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায়।
‎তিনি আরও বলেন, ওই সময় আমি মাঠে গরু-ছাগল আনতে গিয়েছিলাম। বাড়ি ফিরে দেখি ঘরের বাক্সের তালা ভাঙা, ভেতর থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ণালংকারসহ আমার মেয়েকে নিয়ে গেছে। তাঁর দাবি, অপহরণকারীরা মোট ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার সমমূল্যের স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুট করেছে।
‎পরে তিনি সাঘাটা থানায় অভিযোগ করলে প্রথমে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। একাধিকবার থানায় গিয়েও মামলা না নেয়ায় ২০ অক্টোবর তিনি গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কাছে বিষয়টি জানান। এরপর পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলা নথিভুক্ত করা হয় এবং পল্লব কুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে এখনো তাঁর মেয়েকে উদ্ধার করা যায়নি বলে দাবি করেন শাহানাজ বেগম।
‎তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলা হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ অপহরণকারীদের শনাক্ত করতে পারেনি, আমার মেয়েকে উদ্ধারেও কোনো অগ্রগতি নেই।
‎সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁর মেয়েকে দ্রুত উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।