অনলাইন ডেস্কঃ
মানি লন্ডারিং এবং অনলাইন জুয়া প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে, দেশে অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট আইন না থাকায় এসব অপরাধের তদন্ত করা জটিল, সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গবেষক এবং অধ্যাপক ডঃ খান সরফরাজ আলী, লাইফ ম্যানেজমেন্ট এবং এইচআর সলিউশনের সিইও, সিআইডি সদর দফতরে আজ “মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ স্থানান্তর নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ: অনলাইন জুয়া নিয়ে একটি গবেষণা” শীর্ষক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
গবেষণাপত্রে কিছু কৌশল তুলে ধরা হয়েছে — যেমন বিভিন্ন দেশের সাথে পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি সম্পন্ন করা — বিদেশে অর্থ পাচার সংক্রান্ত।
অনলাইন জুয়া এবং অর্থ লেনদেন: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বৈধতার প্রশ্ন
এতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস কার্যক্রমের নিয়মিত নিবিড় পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করার এবং অর্থপাচার প্রতিরোধে দেশের সামগ্রিক বাণিজ্যের জন্য একটি কেন্দ্রীয় ডাটাবেস প্রতিষ্ঠার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, অনলাইন জুয়া এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে দেশ থেকে প্রতিনিয়ত ই-মানি পাচার হচ্ছে।
তিনি বলেন, নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনের ফলে তারা সহজে অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না। নতুন আইনের পর অনলাইন জুয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে অবৈধ অর্থ পাচার বাড়ছে।
“আমরা যে আইনের অধীনে ব্যবস্থা নিই সেটি হল সাইবার নিরাপত্তা আইন, যা ই-মানি লেনদেনকে বোঝায়। এই ধারাটি আগে [ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে] জ্ঞাত ছিল। এখন এটি অ-জ্ঞানযোগ্য করা হয়েছে। বিষয়টি এখন খুবই প্রমাণ পাওয়ার আগে কাউকে ধরা পুলিশের পক্ষে কঠিন।”
